সেখানেই পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন তিনি। থাকবেন ২৫ আগস্ট পর্যন্ত।
এখনকার ঈদ উদযাপন আগের থেকে বিশেষ কোনো পরিবর্তন মনে হয় না মোস্তাফিজের কাছে। তবে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায় যখন ১০০ কিংবা ১৫০ মাইল দূর থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন তার সঙ্গে ছবি তুলতে, তখন।
সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে কোরবানি ঈদ উদযাপন ছাড়াও খেলা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন কাটার মাস্টার। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
বাংলানিউজ: এবারের ঈদে পরিকল্পনা কী?
মোস্তাফিজ: তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিলো না। তবে এবারের ঈদ অন্যান্য বছরের চাইতে একটু আলাদা। কারণ এবার আব্বা-আম্মা থাকছেন না। উনারা হজে গেছেন। অত ভালো কাটেনি।
বাংলানিউজ: কোরবানির ঈদে কোন ব্যাপারটি বেশি ভালো লাগে?
মোস্তাফিজ: দুই ঈদ-ই আমার কাছে একরকম মনে হয়। অন্যদের মতোই লাগে। তবে সবাই এক সাথে হই এটা ভালো লাগে।
বাংলানিউজ: বাড়িতে গেলে নিশ্চয়ই আপনাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়…?
মোস্তাফিজ: টানাটানি বলবো না। তবে হ্যাঁ, অনেকেই ঈদের মধ্যে ১০০, ১৫০ মাইল দূর থেকে ছবি তুলতে আসে। যেহেতু আমি কোথাও যেতে পারি না তাই তারাই আসে। এসে বসে থাকে, সবাই একত্রিত হয়ে আমাকে ছবি তুলতে ডাকে। এটা খুব ভালো লাগে।
বাংলানিউজ: ঈদে সালামি দেন?
মোস্তাফিজ: হ্যাঁ, দেই। প্রতি ঈদেই আমার বাজেট থাকে। আমার বাড়ি ও পাশের বাড়ির চাচাতো, খালাতো, ফুফাতো, মামাতো ভাই-বোন যারা আসে সবাইকেই সালামি দেই। ওদের কিছু কিনে দিলে ওরা খুব খুশি হয়।
বাংলানিউজ: জাতীয় দলে আসার আগের ঈদ ও পরের ঈদের মধ্যে কতটুকু পার্থক্য?
মোস্তাফিজ: একটু পার্থক্য তো আছেই। আগে কেউ ছবি তুলতে আসতো না, এখন আসে।
বাংলানিউজ: ঈদের দিন আপনার সময় কাটে কী করে?
মোস্তাফিজ: একটা ঈদ আমার এখানে কইরেন ..(হাসি) বুঝবেন। না, সত্যি কথা বলতে বিশেষ কিছুই করা হয় না। বাড়িতেই থাকি। যেহেতু অনেকেই অনেক দূর থেকে দেখা করতে আসে তাই বের হই না।
বাংলানিউজ: ইনজুরি থেকে ফিরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বোলিংয়ে যে ছন্দ পেয়েছেন এটা আপনার জন্য কতটুকু স্বস্তির?
মোস্তাফিজ: আমাদের সিরিজ ভাল গিয়েছে। তবে আমার ওতটা ভালো গেছে বলে মনে হয় না। আরও ভালো হওয়া উচিত ছিলো।
বাংলানিউজ: আপনার বোলিং দেখে মনে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের রিড করে বল করেছেন। আগে থেকেই এমন পরিকল্পনা ছিলো?
মোস্তাফিজ: অবশ্যই। ওই রকম পরিকল্পনা তো সবার ক্ষেত্রেই থাকে যে কাকে কিভাবে বল করবো। এটা কমন।
বাংলানিউজ: বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েছেন। এ নিয়ে মনের অজান্তে কোন ভীতি কাজ করে?
মোস্তাফিজ: ভয় সবারই পাওয়ার কথা। আর আমার যেহেতু বেশি হয়েছে তাই ভয়টা বেশি। কী আর করা, খেলতে গেলে ইনজুরি হবেই। এটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে। তাছাড়া আপনি জানেন পেসারদের এই ভয়টা আরও বেশি থাকে।
বাংলানিউজ: বিসিবি সভাপতি বলেছেন আগামী দুই বছর আপনি বিদেশে কোনো টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে পারবেন না। আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
মোস্তাফিজ: আমি শুনেছি। দেখি কি হয়?
বাংলানিউজ: আগামি মাসেই এশিয়া কাপ। দল কেমন করবে বলে প্রত্যাশা করছেন এবং আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী থাকবে?
মোস্তাফিজ: আপাতত ৩১ জনের মধ্যে আছি (প্রাথমিক স্কোয়াড)। নির্বাচকেরা বিবেচনা করে ১১ জনের মধ্যে রাখলে তারপরে বলতে পারবো। এর আগে বলি কি করে বলেন?
বাংলানিউজ: দেশসেরা বোলার আপনি। অটোমেটিক চয়েস, অবধারিতভাবেই থাকবেন।
মোস্তাফিজ: আমি কখনও ভাবি না আমি অটোমেটিক চয়েস।
বাংলানিউজ: টেস্টে ওভাবে হারের পর কখনও ভেবেছিলেন ওয়ানেডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতবেন?
মোস্তাফিজ: দলের সবার মধ্যেই একটা বিশ্বাস ছিলো যে জেতা সম্ভব। কেননা আমরা দল হিসেবে তো আর খারাপ না। বিগত দুই বছরে আমাদের রেকর্ড কিন্তু অতটা খারাপ না। কম বেশি জিতেছি। তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে সিরিজ জিততে পারবো।
বাংলানিউজ: আপনি ছাড়া দলের জুনিয়র কারোর পারফরম্যান্সই আপ টু দ্য মার্ক না। এখনও সিনিয়রদের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই সংকট উত্তোরণের পথ কী?
মোস্তাফিজ: আমি মনে করি তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। আস্তে আস্তে পারফরম্যান্স বেড়িয়ে আসবে। কেননা ক্রিকেটে চাইলেই তো আর সব হয়ে যায় না। সময় দিতে হয়।
বাংলানিউজ: আপনাকে ধন্যবাদ।
মোস্তাফিজ: বাংলানিউজকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এইচএল/এমএ