কাজেই বলার অপেক্ষা রাখছে না ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় ৬ জাতির এশিয়া কাপ তাকে প্রথমের হাতছানি দিচ্ছে। তবে তা শর্ত সাপেক্ষে।
টিম কম্বিনেশনের কারণে একাদশে জায়গা নাও মিলতে পারে। তবে অভিষেকের পর থেকে আজ অব্দি যে পারফরম্যান্স তিনি দেখিয়েছেন তাতে তাকে নিয়ে নেতিবাচক ভাবনায় না যাওয়াই বোধ হয় যুক্তিযুক্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে এশিয়া কাপের আসন্ন আসরে তাকে দেখা যাবে এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত।
'এটা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলের হয়ে আমি এশিয়া কাপ খেলিনি। লক্ষ্য থাকবে ভালো কিছু করার। আর এশিয়া কাপ যেহেতু আরব আমিরাতে, যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করবো। '
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিসিবি প্রাঙ্গনে তিনি একথা বলেন। বলা বাহুল্য হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটার ছাড়া বর্তমান বাংলাদেশ দলের সামান্য সংখ্যকেরই আরব আমিরাতের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সৌভাগ্যক্রমে মিরাজ সেই সামান্য সংখ্যকের একজন।
অবশ্য তার সেই অভিজ্ঞতা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নয় যুবাদলের হয়ে। ২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরটি সেখানে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই অভিজ্ঞতা সঞ্চারের সুযোগ হয়েছিল সাবেক যুবা দলপতির। আর তাতেই ভাল কিছু করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন।
'আমি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি ওখানে, উইকেট সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা আছে। সব ঠিক থাকলে ভালো করার চেষ্টা করবো। '
এ সময় তার কাছে টুর্নামেন্টে ব্যাক্তিগত লক্ষ্যের কথাও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে চটপটে মিরাজ জানালেন, 'দলের প্রয়োজনে যখন যেটা করতে হবে সেটা করাই আমার লক্ষ্য। দলের প্রয়োজনে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে হলে কিভাবে ব্যাটসম্যানকে রান করা থেকে থামিয়ে রাখবো, উইকেট আদায় করতে পারবো... মিডেল ওভারে কিভাবে বল করবো, এইভাবে পরিকল্পনা করেই বল করি। এছাড়া ব্যক্তিগত কোন লক্ষ্য নেই, এটা করবো বা সেটা করবো...এমন কোন চিন্তা নেই। বাড়তি কোনো চাপ নিতে চাই না। দলের চাহিদা অনুযায়ী পারফর্ম করে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ২৮ আগস্ট, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস