বাছাই পর্ব থেকে আসা হংকংকে সঙ্গে নিয়ে এশিয়া টেস্ট খেলুড়ে ৫টি দল মাঠে নামবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য। শেষ মুহূর্তে নিজেদের তৈরি করার পাশাপাশি দলগুলো ঠিক করে নিচ্ছে নিজেদের কৌশলও।
গেল তিন এশিয়া কাপের দুইবারই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের জন্য শিরোপা জয়ের বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই ধারণা অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের। কিন্তু এশিয়া কাপের বিগত ১৩ আসরে বাংলাদেশের মনে করার মতো পারফরম্যান্স হাতে গোনা কয়েকটি পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে সেরা পাঁচটি পারফরম্যান্স আলোচনা করা হলো-
জুনায়েদ সিদ্দিকি- ৯৭; প্রতিপক্ষ পাকিস্তান
অনেকেই হয়তো জুনায়েদ সিদ্দিকির কথা ভুকেই গেছে। ৮০টি ওয়ানডে খেললেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি এই ক্রিকেটার। তবে ইতিহাসের পাতায় তার এশিয়া কাপে করা ৯৭ রান উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এশিয়া কাপের ইতিহাসে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৯০ এর বেশি রান করেন জুনায়েদ।
২০১০ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ৯৭ রান। ওয়ানডে ফরম্যাটের সে ম্যাচে ৩৮৫ রানের বড় লক্ষ্য দেওয়া হয় বাংলাদেশের সামনে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রান সংগ্রহ করলেও ১৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে। তবে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে জুনায়েদের ৯৭ রান অনেকটাই ভালো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
এনামুল হক বিজয়- ১০০; প্রতিপক্ষ পাকিস্তান
বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সম্ভাবনা দেখালেও বেশি দিন তা ধরে রাখতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এনামুল হক। অভিষেকের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বেশি দিন। তবে তার এশিয়া কাপের সেঞ্চুরিটি এখনও বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের মনে দোলা দেয়। এনামুলই বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ এশিয়া কাপের সেঞ্চুরিয়ান।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান এনামুল। সে ম্যাচে বাংলাদেশ ৩২৬ রান করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেবার বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেন শহীদ আফ্রিদি।
মোহাম্মদ আশরাফুল- ১০৯; প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত
মোহাম্মদ আশরাফুল এমন একটি নাম, যাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট কখনই এড়িয়ে যেতে পারবে না। তার একাধিক সব অসাধারণ কীর্তির মধ্যে আছে এশিয়া কাপের সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১০৯ রান হাঁকান এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সে আসরের প্রথম ম্যাচে ৩০০ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয় আরব আমিরাতের সামনে, যেখানে ১০৯ রানই করেন আশরাফুল। ৯৬ রানে ম্যাচও জেতে বাংলাদেশ।
অলক কাপালি - ১১৫; প্রতিপক্ষ ভারত
ভারতের বিপক্ষে মাত্র দুজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি আছে। তাদের মধ্যে প্রথম নামটিই আসে অলক কাপালির। ২০০৮ সালে এশিয়া কাপে তাক লাগিয়ে দেওয়া এই ক্রিকেটারও বেশি দিন নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলে। ম্যাচে বাংলাদেশ করে ২৮৩ রান। জয়ের স্বপ্ন দেখলেও সুরেশ রায়নার ১১৫ রান ও গৌতম গম্ভীরের ৯০ রানে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হার মেনে নিতে হয়। তবে কাপালির সেই ১১৫ রান এখনও এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা ইনিংসের একটি।
মুশফিকুর রহিম- ১১৭; প্রতিপক্ষ ভারত
ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। সাবেক এই অধিনায়ক ২০১৪ সালের এশিয়া কাপের আসরে ১১৭ রান করেন। যা এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ।
ভারতের সামনে ২৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ১৩৬ রানের ইনিংস মুশফিকের ইনিংসকে অনুজ্জ্বল করে দেয়। ভারত ৬ উইকেটে জিতে যায় ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এমকেএম