সংযুক্ত আরব আমিরাতের এবারের আসর হওয়ায় কন্ডিশন নিয়ে কিছুটা চিন্তিত টাইগাররা। তবে ২০১২ ও ২০১৬ সালের ফাইনাল থেকে আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতাকেই এবারেও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা।
১৯৮৪ সাল থেকে এশিয়া কাপ শুরু হলেও ১৯৮৬ সাল থেকে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এশিয়ার এই সেরা টুর্নামেন্টে এত বছর ধরে খেললেও ২০১২ সালে ১১ তম আসরে প্রথমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সামনে ২৩২ রানের লক্ষ্য দেয়। তবে বৃষ্টির আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২১২ রান। আর লক্ষ্য টপকেই বাংলাদেশের প্রথম জয়।
কিন্তু এই সুখ স্মৃতি বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ হারে লঙ্কানদের বিপক্ষে। বাংলাদেশের দেওয়া ২০৪ রান তিন উইকেট ও এক ওভার হাতে রেখেই পার হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সেবার শিরোপাও উঁচিয়ে ধরে তারা।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে আবারও পাল্টে যায় চিত্র। সেবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাঠে গড়ায় এশিয়া কাপ। জ্বলে ওঠে সাব্বির রহমানের ব্যাট। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫৪ বলে ৮০ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সাব্বির। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ২৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
এবারের এশিয়া কাপ আবারও ফিরেছে ওয়ানডে ফরম্যাটে। দলে নেই সাব্বির রহমান। তবু নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে নির্ভার থাকছে বাংলাদেশ।
অপরদিকে একের পর এক ইনজুরিতে লঙ্কা শিবিরে বাড়ছে দুঃশ্চিন্তার মেঘ। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের হিসেবে তারাই এগিয়ে। ১৯৮৬ সাল থেকে মোট ৪৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। সেখানে ৩৬টি ম্যাচেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ছয়টিতে। তবে সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচেই হেরেছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এমকেএম