এর আগে ইনিংসের ১.৫ ওভারেই ২২ রান তুলে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য খারাপ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার থারাঙ্গা ও মেন্ডিস। কিন্তু তাদের খুব বেশিদূর যেতে দেন নি বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে আরেক লঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে দেন মাশরাফি। উইকেট সোজা বলকে থার্ডম্যান বরাবর পাঠাতে চাইলে বলের সুইংয়ে পরাস্ত হন থারাঙ্গা। স্কোর বোর্ডে ২৮ রান সংগ্রহ করতেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর লঙ্কানদের আরও চাপে ফেলে দেন মাশরাফি। নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন টাইগার অধিনায়ক। আম্পায়ার আউট দিলেও এবার রিভিও নেয় শ্রীলঙ্কা। রিপ্লে দেখে আম্পায়ার তার সিদ্ধন্তে অটল থাকেন। ১ উইকেটে ২২ রান থেকে ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কান ইনিংসকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে অষ্টম ওভারে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনেন মাশরাফি। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করা মিরাজ নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই কুশাল পেরেরার উইকেট তুলে নেন। সোজা বলে ডিফেন্ড করতে গিয়ে পরাস্ত হন পেরেরা, বল গিয়ে লাগে তার প্যাডে। টাইগারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে পেরেরাকে আউটের ইশারা করেন আম্পায়ার। ৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে রান আউটে। ১৭তম ওভারে বল করতে আসেন মিরাজ। প্রথম বলেই অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পড়ে বল ব্যাটসম্যান ম্যাথুসের ব্যাটে লেগে লেগ সাইডে গড়ালে রানের জন্য দৌড়ে ক্রিজের মাঝপথে চলে আসা লঙ্কান আসা শানাকাকে ফেরত পাঠান অধিনায়ক ম্যাথুজ। কিন্তু ততোক্ষণে মিড উইকেট থেকে বল কুড়িয়ে সজোরে থ্রো করেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে পৌঁছানো মাত্র নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন বোলার মিরাজ।
ইনিংসের ১৮তম ওভারে পেসার রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন ওভারের দ্বিতীয় বলেই লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে লেগ বিভোরের ফাঁদে ফেলে আউট করে দেন রুবেল।
মিরাজের বলে লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারার পেরেরা রুবেলের ক্যাচে পরিণত হলে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার।
এশিয়া কাপের চলতি আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগাররা। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।