এ ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বাংলাদেশের করা ২৬১ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা মাত্র ১২৪ গুটিয়ে যায়। নিচে সংখ্যায় সংখ্যায় ম্যাচটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১৩৭-দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২১ রানে। সবমিলিয়ে টাইগারদের এটি ষষ্ঠ বড় জয়। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয়। লঙ্কানদের এর আগে ঢাকায় ১৬৩ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
০-এটিই এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় হার। আগেরটি ছিল ১৯৮৬ আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮১ রানে। এছাড়া এশিয়ার জায়ান্ট তিন দল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যেও এটি সবচেয়ে বাজে হার। লঙ্কানদের বিপক্ষে ভারত ২০০৮ আসরে ১০০ রানে হেরেছিল।
০-বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর (১২৪)। এর আগে ২০০৯ সালে ঢাকায় ১৪৭ করেছিল দলটি। ৫৫.১৭-শতাংশ রান এ ম্যাচে যোগ করেছেন মুশফিক। যেটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০ সালে ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৮ রানের ম্যাচে ১২৫ করা তামিম যোগ করেছিলেন ৫৪.৮২ শতাংশ রান।
১-এশিয়া কাপে মুশফিকের ১৪৪ থেকে মাত্র একটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর রয়েছে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি ১৮৩ রান করেছিলেন। যদিও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইউনিস খান ২০০৪ সালে হংকংয়ের বিপক্ষে মুশফিকের সমান ১৪৪ রানই করেছিলেন। এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের পঞ্চম সেঞ্চুরি। আর মুশফিকের দ্বিতীয়।
২-মুশফিকের ১৪৪ রান বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এর আগে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিম ১৫৪ করেছিলেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আর ২০১৪ সালে এশিয়া কাপেই ভারতের বিপক্ষে মুশফিক আগের ক্যারিয়ার সেরা ১১৭ রান করেছিলেন।
৩২-দশম উইকেট জুটিতে মুশফিক ও তামিম ১৬ বলে এই রানের জুটি গড়েন। তবে মজার ব্যাপার মুশফিক একাই ১৫টি বল মোকাবেলা করেন। পুরো ৩২ রান নিজেই তুলে নেন। চোট পাওয়া তামিম একটি বল খেলেন। শেষ দিকে দ্রুত এই রানেই বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৬১ করতে পারে। যেখানে ৪৩ ওভারে ২০৮ রানে বাংলাদেশের ৮ উইকেটের পতন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এমএমএস