ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টেস্টেও কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে সিলেট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
টেস্টেও কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে সিলেট ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিপিএলের পঞ্চম আসর দিয়ে প্রথমবারের মতো আর্জাতিক ক্রি‌কে‌টের ফ্লেভার পেয়েছিল সিলেট ক্রি‌কে‌ট স্টেডিয়াম। টি-টোয়েন্টির ধুমধারাক্কার এই টুর্নামেন্টের টিকিটের জন্য গোটা সিলেটবাসীই মরিয়া হয়ে উঠেছিল। টিকিট নামক সোনার হরিণ হাতে পেতে কাউন্টারে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। লাখ লাখ উন্মত্ত দর্শকের টিকিটের যোগান দিতে খোদ আয়োজকেরাও হিমশিম খেয়েছিলেন।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ভেন্যুটিতে গড়ালো  প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেখানেও কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো মাজারের শহরের এই স্টেডিয়ামের প্রতিটি গ্যালারি।

আগামী ৩-৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টেস্ট দিয়ে দেশের অষ্টম টেস্ট ভেনু হিসেবে যাত্রা শুরু করবে সিলেট স্টেডিয়াম। সাদা পোশাকের সেই ম্যাচেও স্টেডিয়ামের প্রতিটি গ্যালারি ভরে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। টেস্ট ম্যাচটি শুরু হতে এখনও বাকি প্রায় দেড় মাস। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ক্রি‌কে‌ট পাগল সিলেটবাসী এখন থেকেই নাকি সেই ম্যাচের টিকিটের জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। কেউ খোঁজ নিচ্ছে ফোনে আবার কেউবা সশরীরে। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলরোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রি‌কে‌ট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমকে সেকথাই জানালেন নাদেল।

'আপনারা জানেন ফুটবল বা ক্রি‌কে‌ট যাই হোক না কেন সিলেটে সবসময়ই দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় থাকে। কিন্তু টেস্ট খেলা দেখতে আমজনতা সাধারণত মাঠে আসেন না। তবে সিলেটের ব্যাপরটা যেহেতু ভিন্ন এবং যেহেতু এটি এই ভেন্যুর প্রথম টেস্ট আমার মনে হয় স্টেডিয়ামের দৃষ্টিনন্দন গ্যালারিতে বসে ইতিহাসের সাক্ষী হতে টি-টোয়েন্টির মতোই দর্শক থাকবে। এখন থেকেই আমরা সেই চাপ অনুভব করতে শুরু করেছি। '

ঐতিহাসিক ম্যাচটি সামনে রেখে স্টেডিয়াম পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও আশ্বস্ত করেন সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এই প্রধান। 'আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে স্টেডিয়াম ব্যবহার হলে যেটা হয় চেয়ারগুলো ভেঙে যায়। এই কাজগুলো ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই। '

আর উইকেটের প্রশ্নে স্বাগতিকদের বাড়তি সুবিধার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে বলে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। 'যেহেতু প্রথম টেস্ট আমরা চাইবো আইসিসির নিয়মকানুনগুলো যেন যথাযথ মেনে চলা হয়। তারপরেও যেহেতু আমাদের নিজেদের ঘরের মাঠ কিছুটা হলেও যাতে আমাদের সুবিধা হয় সেটাও মাথায় থাকবে। কেননা এটা প্রতিটি দেশই করে। আমরা তার ব্যতিক্রম কেন হবো। '

স্বাগতিক টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশে পৌঁছে ১৯ অক্টোবর বিকেএসপিতে একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে দু'দল।

এরপর ২১ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রি‌কেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ও সফরকারীরা। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে গড়াবে ২৪ ও ২৬  অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচই দিবা রা‌ত্রির।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩-৭ নভেম্বর সিলেট স্টেডিয়ামে গড়াবে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি। দ্বিতীয় ও শেষটি অনুষ্ঠিত হবে ১১-১৫ নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।