তাদের মতে তামিমের এমন নির্ভীক ও দায়িত্বশীল মানষিকতা তাদের জন্য তো বটেই এদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামিতে তারাও দলের জন্য এমন নিবেদনে আকৃষ্ট হবেন।
অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগকে (এনসিএল) সামনে রেখে মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা সেখানে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) একথা বলেন তারা।
তামিমের বীররোচিত মনোভাবে অনুপ্রাণিত জাতীয় দলের সবশেষ সংযোজন আবু যায়েদ রাহি বলেন, ‘মনে হয়েছিল উনি নামতে পারবেন না। কিন্তু মাঠে নামার পর খুব ভাল লাগছিল। জুনিয়র প্লেয়ারদের জন্য এটা অনেক শিক্ষনীয়। টিমের জন্য অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। ’
দলে এক সময়ে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী শামসুর রহমান শুভ বলেন, ‘ওরকম অবাক আমি হইনি। তামিম-সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ ভাই বা মাশরাফি ভাই এরা সবসময় সামনে থেকে লিড দেয়া পছন্দ করে। আর এরা নিজেরা কিছু না পারলে খুব অপমানিত বোধ করে। ওদের ক্ষুধা জিনিসটা অনেক বেশি। অন্য রকম। ’
‘দলের সিনিয়র ৫ জনই সবসময় স্পেশাল কিছুর করতে চায়। আমি মনে করি তরুণ প্লেয়ার যারা ক্রিকেট ভালবাসে খেলতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই ঘটনা প্রেরণা যোগাবে। আমরা কেন পারব না, এই ব্যাপারটা তারা এখন ভাববে। সামনে যারা বাংলাদেশ টিমে খেলবে তাদের জন্য উৎসাহের ব্যাপার আছে। তামিম শো করল অসাধারণ একটা জিনিস। ’ যোগ করেন শুভ।
টেস্ট স্পেশালিস্ট পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি বললেন, ‘আমি ভাবিনি যে তামিম ভাই ব্যাটিংয়ে নামবেন। প্রত্যাশাও করিনি। তার সুস্থতাই বেশি কামনা করেছি। তামিম ভাই যে কাজটা করেছেন তা শিক্ষনীয় ব্যাপার। দলের প্রতি, সতীর্থের প্রতি যে ভালবাসা দেখলাম সেটি আমরা যারা জুনিয়র আছি ভবিষ্যতে কাজে দেবে। ’
ম্যাচে সুরাঙ্গা লাকমালের বাউন্সারে তামিম ইকবাল বাঁহাতে চোট পান তামিম। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে মাঠ থেকেই চলে যান হাসপাতালে। গলায় স্লিংয়ের সঙ্গে হাত ঝুলিয়ে ফেরেন মাঠে। তবে তা শুধুই ড্রেসিং রুম পর্যন্ত। ম্যাচের ৪৭ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান আউট হওয়ার পর সবাই ধরেই নেয় বাংলাদেশের ইনিংস এখানেই শেষ। ঠিক সে মুহূর্তে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম ডানহাতে ব্যাট নিয়ে নেমে যান মাঠে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস যেন নতুন করে লেখেন। তাকে সঙ্গী করে অপর প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহিম দলকে এনে দেন ২৬১ রানের সংগ্রহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম