বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে বেশ বড় এক ধাক্কাই খায় বাংলাদেশ। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে এমন হার বাংলাদেশ দলের জন্য একটু হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এক কথায় হতাশাজনক ব্যাটিং ও ডেথ ওভারেই হেরে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে নিজেদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কোন অজুহাত দাঁড় করাননি মাশরাফি। দলে ছিলেন না তামিম ইকবাল-মুশফুক-মোস্তাফিজুর রহমানের মতো ক্রিকেটার। তাদের অনুপস্থিতি দলের উপর প্রভাব ফেলেছে, এমনটাও মানতে নারাজ অধিনায়ক। তার মতে, যোগ্যতা দিয়েই বাকীরা দলে এসেছে। পারফরম্যান্স না করতে পারা কোনো অজুহাত নয়।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচের কোন অজুহাত দিতে চাই না। যারা খেলেছে ম্যাচে তারাও যোগ্য বলেই স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য ওদেরও আছে। এক্ষেত্রে কোন অজুহাত চলে না। আমাদের পারফরম্যানসই ছিলো হতাশাজনক। ’
কোনো ম্যাচই মূল্যহীন নয় এমনটাই মনে করেন মাশরাফি। সেক্ষেত্রে সুপার ফোরের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচকে কোনভাবেই হালকাভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে তাই হার। এমনটাই সোজাসাপ্টা জানিয়ে দলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না মনোযোগে ঘাটতি ছিল। জেতার জন্যই নেমেছিলাম ছিলাম আমরা। চল্লিশ ওভার পর্যন্ত আমরা ঠিকঠাকই ছিলাম। তারপর ওরা এগিয়ে গেছে। তবে সংশয় বলতে একটা ব্যাপার ছিল যে আজকে (বৃহস্পতিবার) খেলে আবার কালকে (শুক্রবার) খেলতে হবে। কিভাবে ম্যাচটিকে নেব আমরা, এটি বোঝার ব্যাপার ছিল। তবে হেরে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। দিতেও চাই না। ’
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই আবারও মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বাড়তি চাপ না থাকলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এত বড় ব্যবধানে হারার পরই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামা কতোটা শক্ত মনোবলে নিতে পারবে বাংলাদেশ সল, সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এমকেএম