শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ৪৯তম ওভারে বল করতে এলেন আফগানিস্তানের সুপার স্পিনার রশিদ খান।
রশিদের ওভারের চতুর্থ বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকান হাসান আলী। বাকি দুই বল কোনো রান খরচ করেন নি রশিদ। শেষ ওভারে দরকার ১০ রান। ক্রিজে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই ডিপ স্কয়ারে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।
এর আগে আফগানদের দেওয়া ২৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই ওপেনার ফখর জামানের উইকেট হারায় পাকিস্তান। কিন্তু এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইমাম-উল-হক (৮০) ও বাবর আজম (৬৬)। মাঝখানে রশিদ খান আর মুজিবের বোলিং তাণ্ডবে খেই হারিয়ে ফেললেও ম্যাচের ইতি টেনেই মাঠ ছাড়েন শোয়েব মালিক (৪৩ বলে ৫১)।
বল হাতে ১০ ওভারে ৪৬ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। ১০ ওভারে ৩৩ রান খরচে ২ উইকেট দখল করেন আরেক স্পিনার মুজিব উর রহমান।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। দলীয় ২৬ রানেই ওপেনার ইহসানুল্লাহ’কে (১০) কট এন্ড বোল্ড করার পর আফগানদের স্কোর বোর্ডে আর ৫ রান যোগ করতেই আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকেও তুলে নেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ নওয়াজ। এরপর ৬২ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন রহমত শাহ (৩৬)। কিন্তু তাকেও তুলে নেন নওয়াজ।
এরপর মিডল অর্ডারে হাল ধরেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি ও আফগান অধিনায়ক আসগার আফগান (৬৭)। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে আসগারের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ১১৮ বল মোকাবেলা করে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন হাসমতুল্লাহ। তার দুর্দান্ত এই ইনিংসেই নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের লড়াকু পুজি সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
বল হাতে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল মোহাম্মদ নওয়াজ। ১০ ওভারে ৫৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই বোলার। ২ উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাকি ১ উইকেট হাসান আলীর।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এমএইচএম