কিন্তু তাই বলে ফাইনালের সম্ভাবনা তো আর শেষ হয়ে যায়নি। সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই টুর্নামেন্টের মাঝপথে ডাক পড়েছে দুই অভিজ্ঞ’ ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের।
হঠাৎ করে তাদের এভাবে দলে অন্তর্ভুক্তির কারণই হয়তো একটিই। আর একটি হারও নয়। ফাইনালে খেলতে হবে। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে ম্যাচটি স্টিভ রোডস শিষ্যদের সুপার ফোরের প্রথম ছিলো। বাকি দুটিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই হলো। তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ মিলবে।
তাই এখনই বিচলিত হওয়ার পক্ষে নন সৌম্য সরকার। বরং ম্যাচ দুটিকে বাংলাদেশ যদি ‘ডু অর ডাই’ বিবেচনা করে নামে তাহলেই তাদের ফাইনালে খেলা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
‘অবশ্যই এখনো সুযোগ আছে। টুর্নামেন্টে নক আউট পর্ব থাকে তখন কিন্তু হারলেই বাদ হতে হয়, এখন আমাদের সেভাবেই ভাবতে হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করলেই ভালো। আমার মনে হয় আমাদের আগামী ম্যাচকে কোয়ার্টার ফাইনাল ও পরের ম্যাচকে সেমি ফাইনাল হিসেবে ধরতে হবে। ’
‘ওইভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তাই প্রথমে আফগানিস্তান ম্যাচ, এরপর পাকিস্তান...এভাবে চিন্তা করলে চাপ কম থাকবে। ’-যোগ করেন সৌম্য।
সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ার আগে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-চত্বরে তিনি একথা বলেন।
বড় কঠিন সময়ে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন সৌম্য, ইমরুল। একে তো টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি, দুইয়ে অপ্রস্তুত মানসিকতা। শরীরে লেগে থাকবে টানা দু‘দিনের ভ্রমনক্লান্তি। থাকবে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জও।
আশার কথা হলো দলের অবস্থা বিবেচনা করে এসব কিছুর জন্যই প্রস্তুত সৌম্য, ‘যেহেতু নতুন একটা ওয়েদারে যাচ্ছি আবার সফরের ঠিক মাঝামাঝি অবস্থায়। সুতরাং যত দ্রুত পারা যায়, মানিয়ে নিতে হবে। আর কোনো উপায়ও নেই, মানিয়ে নেয়া ছাড়া। নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, ধরে নিতে হবে সব ঠিক আছে। ’
‘আমি যাচ্ছি যেহেতু, আমাকে ম্যাচটা টুর্নামেন্টে আমার প্রথম ম্যাচ হিসেবে চিন্তা করতে হবে। সেভাবেই শুরু করব। আমি যদি অনেক কিছু চিন্তা করি, তাহলে আমি নিজেই বেশি চাপে পড়ব, মাথায় সেই জিনিসগুলোই বেশি ঘুরপাক খাবে। তাই ম্যাচটিকে টুর্নামেন্টে আমার প্রথম ম্যাচ হিসেবে খেলার চেষ্টা করব। ’
স্বপ্নের ফাইনালের মিশনে পাক-আফগান বধে সৌম্যর টোটকাটি নিশ্চয়ই সময়োপযোগী। দেখা যাক মাশরাফিরা সেটা কতুটুকু কাজে লাগাতে পারেন।
এই সৌম্যর ব্যাটেই ২০১৫ সালে ঘরের মাটিতে কপাল পুড়েছিল ক্রিকেটের সব সময়ের তিন শক্তিশালী দল পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার। যেবার কিনা তারা প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল টাইগারদের বিপক্ষে। আর বাঁহাতি এ তারকার সেই ব্যাট যদি আমিরাতের মাটিতে আবারও জ্বলে ওঠে তবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কপাল পুড়তেই পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস