ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শাহাদাতের ওপেন চ্যালেঞ্জ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
শাহাদাতের ওপেন চ্যালেঞ্জ শাহাদাত হোসেন রাজিব। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘সত্যি কথা বলতে  কী আমার আসলে ওই ধরনের ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। কাউকে বলে খেলবো এমন ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। কারন আমার জবাব তো মাঠে। মাঠে ভালো খেলার পরও যদি আমাকে না নেয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমার চেয়ে যদি কেউ ভালো করতে পারে আমি খেলা ছেড়ে দেব এটা আমার চ্যালেঞ্জ! আপনাদের সামনে আমি চ্যালেঞ্জ করলাম।’ এমনটাই বলছিলেন ফাস্ট বোলার শাহাদাত হোসেন রাজিব।

ডানহাতি পেসারের কণ্ঠে একই সঙ্গে ছিলো ক্ষোভ,অভিমান এবং নিজের সক্ষমতার জানান। কিন্তু হঠাৎ করে কেন তার এমন বিষ্ফোরণ? এক বছর বিরতির পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফেরা এবং সদ্য সমাপ্ত এনসিএলের ৫ ম্যাচে ১৭  উইকেটের হৈচৈ ফেলে দেয়া বোলিংয়ে রীতিমত উড়ছিলেন শাহাদাত।

খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়েও।

শাহাদাতের দাবী, নির্বাচকরা তাকে আশ্বাস দিয়েছেন ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) পারফর্ম করতে পারলে ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট দলে ফেরার পথ সুঘম হবে। কিন্তু সেই বিসিএলই তার লাল সবুজের দলে ফেরার শেষ আশ্রয় কেড়ে নিয়েছে। এবারের বিসিএলে ৪ দলের কোনোটিই তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বিসিএল বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় থাকা এই পেসার।

আর এ কারণেই যারপরনাই হতাশ তিনি। হতাশা প্রকাশের আরেকটি কারণ, বিগত বছরগুলোতে যাদের হয়ে খেলেছেন সেই ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনও তাকে বঞ্চিত করার সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানাতে পারেনি। দায় চাপিয়ে দিয়েছে কোচের ঘারে।

বিষয়টি শাহাদাতের জন্য যথেষ্টই অবমাননাকর পাশাপাশি বর্ননাতীত কষ্টেরও। রোববার (১৮ নভেস্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে জিম শেষে সংবাদ মাধ্যমকে নিজের ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে অনেক কথা বলেন শাহাদাত।

বলেন, ‘আমরা যারা সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছি তারা এখনও বুড়া না। আর আমি এখনও চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে কোনো ফাস্ট বোলার আমার চেয়ে যদি ভালো বল করতে পারে তাহলে আমি খেলা ছেড়ে দেবো। আপনাদের সামনে এই আমি বললাম। এটাই আমার শেষ কথা। আমার চেয়ে যদি কেউ ভালো করতে পারে আমি খেলা ছেড়ে দেব এটা আমার চ্যালেঞ্জ! আপনাদের সামনে আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। আর সেরকম সক্ষমতা যদি আমার না থাকতো তাহলে আমি আগে থেকেই ক্রিকেট খেলতাম না। আমাদের সময় অনেক ফাস্ট বোলার ছিল যারা এখন খেলতে পারছে না। কারন তাদের সক্ষমতা নেই। আমি তো এখনও প্রায় ১৪০ কিমি বেগে বল করছি। বয়সও বেশি না। ভালো জায়গায় বল করছি, ফিটনেস ভালো রয়েছে তাহলে কেন সুয়োগ পাবো না?’ 

‘অনেক বড় একটা হতাশা। বিশ্বাস ছিল কেউ না কেউ আমাকে দলে নেবে। ভেবেছিলাম কোনো ফাস্ট বোলারকে যদি নেয়া হয় তাহলে হয়তো আমি সুযোগ পাবোই। ভেবেছিলাম বিসিএলটা ভালো খেললে হয়তো টেস্ট দলে ফেরার পথটা সহজ হবে। সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। আমার জন্য একটু ভালো হতো। টেস্ট ক্রিকেটে আসার জন্য এতো কিছু করা। জাতীয় লিগটা ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে বিসিএলে সুযোগ পায়নি। বলে বোঝাতে পারবো না আসলে কতটা খারাপ লেগেছে। ’

যদি কোনো দল একটি বা দুটি রাউন্ড খেলতে বলে? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত বললেন,‘না খেলার কিছু নেই। খেলবো না কেন? সামনে বিপিএল আছে। খেলার জন্যই তো এতো কষ্ট। খেলার উপর তো রাগ করে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮ 
এইচএল/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।