হ্যামিল্টনে শনিবার (২ মার্চ) সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে রীতিমত রান উৎসব করেছে নিইউজিল্যান্ড। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৪৫১ রানের সংগ্রহকে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত ব্যাট করে ৭১৫ পর্যন্ত টেনে নিয়ে তবেই থামে তারা।
আগেরদিন ৯৩ রানে অপরাজিত কেন উইলিয়ামসন এদিন তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে আগেরদিন অপরাজিত থাকা নেইল ওয়েগনার ৪৭ রানে করে ইবাদাত হোসেনের প্রথম টেস্ট উইকেট হয়ে ফিরেছেন। এরপর ব্র্যাডলি-জন ওয়াটলিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
হাতে রানের সংগ্রহ আকাশচুম্বী অবস্থানে নেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ডাবল হাঁকিয়েই ইনিংস ঘোষণা করে দেন কিউই অধিনায়ক। ২৫৭ বলে খেলা এই ইনিংস ১৯টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো। তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম মাত্র ৫৩ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন। এই ইনিংস খেলার পথে ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
বল হাতে একটা লজ্জার রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের। ৪৯ ওভার বল ঘুরিয়ে মাত্র ২ উইকেট পেতে তাকে খরচ করতে হয়েছে ২৪৬ রান, যা টেস্টে বাংলাদেশের যেকোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলিং। ওভার পিছু ৫.২ রান করে খরচ করেছেন তিনি। এছাড়া সৌম্য সরকার ২টি আর ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ইবাদাত হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভালো শুরুর পরও বেশি সময় ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির (১২৬) পরও মাত্র ৫৯.২ ওভার খেলে ২৩৪ রানেই প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে ফেরে টাইগাররা।
ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড গড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওপেনিং জুটির রেকর্ড।
প্রথমদিন শেষে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয়দিন নেমে সেই রান টেনে নিয়ে যেতে থাকার পথে হয়ে যায় এক রেকর্ডও। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দেশের উদ্বোধনী জুটির সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড এটিই। পেছনে পড়ে যায় ২০০১ সালে ওয়েলিংটনে ম্যাট হর্ন ও মার্ক রিচার্ডসনের ১০৪ রানের জুটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
এমএইচএম