মানকাড আউট হচ্ছে, নন-স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যান যদি বল করার আগ মুহূর্তে পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়া যায়, তবে বোলার চাইলে স্টাম্প ভেঙে তাকে আউট করতে পারে। সেদিন ইংলিশ ব্যাটসম্যান বাটলারকে অশ্বিন এই আইনেই আউট করেছিলেন।
তবে সেদিন থেকেই এ নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সমর্থক থেকে শুরু করে বর্তমান ও সাবেক অনেক ক্রিকেটারের সমালোচনার শিকার হন অশ্বিন। তারা জানায়, অশ্বিন চেতনা বিরোধী কাজ করেছে। তবে অনেকে আবার এটিকে আইসিসির আইন মনে করিয়ে দিয়ে অশ্বিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সেই ম্যাচে ৫৯ রান করা বাটলার পরের দুই ম্যাচে ভালো করতে পারেননি। তবে দলের চতুর্থ ম্যাচে দলকে জেতানো ফিফটির দেখা পান। এবার তিনি মানকাডে শিকার হওয়া সেই ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে জানান, এই আইনে বেশ দুর্বলতা রয়েছে যা, আরও যাচাই করা দরকার।
এদিকে ঐ ম্যাচের পর বাটলার নিজেকে মানকাড থেকে শোধরাতে আরও সতর্ক হয়েছেন। তবে এর ফলে ব্যাটিংয়ে অমনোযোগী হয়ে পরের দুই ইনিংসে ভালো করতে পারেননি। তবে এখন আবার স্বরূপে ফিরেছেন। আর তিনি মনে করেন সেই একমাত্র ক্রিকেটার যে দু’বার মানকাড হয়েছেন। ২০১৪ সালে সর্বপ্রথম তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এমনটি হয়েছিলেন।
বাটলার বলেন, ‘অবশ্যই মানকাডিং আইনে থাকা প্রয়োজন, কেননা ব্যাটসম্যানরা তাহলে আগেই পিচের মাঝে চলে যায়। তবে আমি মনে করি, এই আইনে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। যখন বোলার বল করার জন্য প্রস্তুতি নেবে। ’
ক্রিকেটীয় আইন অনুযায়ী জস বাটলার যে ‘আউট’ এটা নিয়ে সন্দেহ খুব কমই আছে। কিন্তু বিতর্ক হচ্ছে ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে। বিশেষ করে অশ্বিন তার স্বাভাবিক অ্যাকশনে বল না করায় প্রশ্ন উঠছে। অশ্বিন বল ছোড়ার ভঙ্গি করলেও অপেক্ষায় ছিলেন কখন বাটলার ক্রিজ পার করবেন। এরপর স্ট্যাম্প ভেঙেছেন। এটা ক্রিকেটীয় দিক থেকে দেখলে একেবারেই চেতনার পরিপন্থী। ক্রিকেটের মতো ভদ্রলোকের খেলার সঙ্গে এটা ঠিক যায় কি না এটাই সন্দেহ অনেকের।
মূলত সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকড়ের নাম অনুসারে এই আউটের নামকরণ করা হয়েছে। যদিও এই আউটকে আইনসিদ্ধ বলা হয় তবু তা ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী বলেই মনে করা হয়। বরং প্রথমবার ব্যাটসম্যানকে সাবধান করে দেওয়াই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, ০৪ এপ্রিল, ২০১৯
এমএমএস