বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য বলতে কোয়ার্টার ফাইনালের মুখ দেখা। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এই সাফল্য এসেছিল।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কিছুদিন আগেই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সেখানে কোনো ম্যাচেই হারেনি মাশরাফিবাহিনী। তবুও এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছে না। কিন্তু টাইগার অধিনায়ক চান তার দলের সদস্যরা এবার ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দিক, সেটাও ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ থেকেই।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মাশরাফি বলেন, 'আপনি যদি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক এবং সাবেক ক্রিকেটারদের কাছে বিশ্বকাপের ফেভারিট সম্পর্কে জানতে চান তাদের কেউই আমাদের নাম বলবে না। আমি মনে করি এবার যদি আমরা আগের চেয়ে বেশি কিছু করে দেখাতে পারি তাহলে কিছু ধারণার পরিবর্তন আনতে পারব। এটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। '
টাইগারদের এবারের দলটিতে অভিজ্ঞতার ঘাটতি নেই। কারণ, মাশরাফি, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবাল এবং উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম প্রত্যেকেই চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেকের বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ম্যাচ জয়ের অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে দেওয়া দলটিতে তারা সবাই ছিলেন।
নিজের শেষ বিশ্বকাপ আসরের মুখোমুখি দাঁড়ানো মাশরাফি বললেন, 'আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং আমাদের খুঁজে বের করতে হবে আমরা যা করতে চাইছি তার জন্য আমরা কতটা প্রস্তুত। অনেকসময় সেরা দলটিও সেমিফাইনালে যেতে পারে না। তাই আমাদের ওপর বিশ্বকাপ জেতার কিংবা সেমিফাইনাল খেলতে হবে এমন কোনো চাপ নেই। আমরা শুধুই ভালো খেলতে চাই। '
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশকে হয়ত ফেভারিট হিসেবে রাখছেন না, কিন্তু সাবেক টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিমের বিশ্বাস বাংলাদেশ অন্তত শেষ চারে যেতেই পারে। যেহেতু এবার রাউন্ড রবিন লিগের ভিত্তিতে খেলা হবে তাই ধারাবাহিকতাই এখানে মুখ্য।
টাইগারদের বর্তমান দলটিকে নিয়ে আশাবাদী মুশফিক বলেন, 'সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের উপস্থিতি থাকায় এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিশ্বকাপ দল। এটা (শেষ চার) অসম্ভব নয়। এটা কঠিন, কিন্তু সম্ভব। '
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এমএইচএম