ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আফ্রিদির চড় খেয়ে ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করেন আমির!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
আফ্রিদির চড় খেয়ে ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করেন আমির! মোহাম্মদ আমির ও শহীদ আফ্রিদি-ছবি: সংগৃহীত

২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। সেসময়ের টেস্ট অধিনায়ক সালমান বাটের প্রত্যক্ষ মদদে এই কেলেঙ্কারিতে জড়ান দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। পরে এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর এই তিনজনকেই বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

শুরুতে ফিক্সিংয়ের কথা কেউই স্বীকার করেননি। কিন্তু আমিরকে আড়ালে ডেকে নিয়ে কষে এক চড় বসিয়ে দেন সেসময়ের ওয়ানডে অধিনায়ক আফ্রিদি।

এরপর সব উগড়ে দেন সেসময়ের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ পেসার আমির। এমনটাই দাবি সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাকের।

পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে অন্ধকারতম ওই ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি দেশটির জিএনএন নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বলেন, ‘সে (আফ্রিদি) আমাদের রুম থেকে চলে যেতে বলে, কিন্তু এরপর আমি চড়ের শব্দ পাই এবং আমির সব সত্য স্বীকার করে। ’

সাবেক অলরাউন্ডার পাকিস্তান ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করার জন্য পিসিবিকেও দায়ী করে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আইসিসি এ বিষয়ে (স্পট ফিক্সিং) ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই পিসিবি ওই তিনজন অস্বীকার করা সত্ত্বেও তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে। তারা (পিসিবি) তাদের (ওই তিনজন) এক বছর বা এরকম নিষেধাজ্ঞা দিতে পারত। কিন্তু তা না করে শেষ পর্যন্ত পিসিবি বিশ্বব্যাপী পাকিস্তান ক্রিকেটের ইমেজ নষ্ট করেছে। ’

৩৯ বছর বয়সী রাজ্জাকের দাবি, ইংল্যান্ডে কেলেঙ্কারি প্রকাশ হওয়ার আগে সালমান বাট ইচ্ছে করেই আউট হচ্ছিল এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডট বল খেলছিল। ‘আমি আমার চিন্তার কথা আফ্রিদিকে বলেছিলাম কিন্তু সে বললো ওসব আমার ভুল ধারণা এবং সব ঠিক আছে। কিন্তু যখন আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাটের সঙ্গে এক ম্যাচে ব্যাট করছিলাম, আমি বুঝতে পারছিলাম সে আমাদের দলকে ডোবাচ্ছে। ’

রাজ্জাক জানান, ওই ম্যাচে সিঙ্গেল নিয়ে তাকে স্ট্রাইকে দিতে বলেছিলেন কিন্তু তার কথা শোনার কোনো আগ্রহ দেখাননি বাট।

‘সে এমন ভাবনাকে প্রত্যাখ্যান করায় আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যখন আমি বুঝতে পারলাম সে কিছু একটার সঙ্গে জড়িয়ে আমি কিছুটা জোর দিয়েই আমাকে স্ট্রাইক দিতে বললাম। এমনকি সে প্রতি ওভারেই ২-৩ বল খেলে তারপর আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল। আমি কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ি এবং চাপে পড়ে আউট হয়ে যাই,’ বলেন রাজ্জাক।

২০১১ সালের শুরুর দিকে বাট, আসিফ ও আমিরকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি’র দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধ করা হয়। তিনজনই এখন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফিরেছেন। কিন্তু একমাত্র আমিরই নিজের ফর্ম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এবং বর্তমান বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।