বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতামূলক কর্যক্রমে অংশ নেন সাকিব। সেখানেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়া নিয়ে নিজের চিন্তার কথা জানাতে গিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েও।
লঙ্কানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছে টাইগাররা। এই সফরে হুট করে নেতৃত্ব পাওয়ায় যতটা না চাপে ছিলেন তামিম, তার চেয়েও বেশি চাপ ছিল ব্যাটে রান না পাওয়ায়। সবমিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো এই সফর শেষে তামিমকে বিশ্রাম নিতে বলছেন সাকিব, ‘দেখুন একজন প্লেয়ারের এরকম খারাপ সময় যেতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় ওর বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। এখন ওর চাই রিকভার করা, ফ্রেশ হওয়া এবং ফিরে আশা। আমি নিশ্চিত ও এটা করবে। ’
তবে শুধু তামিম নয়, দলের প্রয়োজনে সব ক্রিকেটারেরই বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে সাকিব। তা না হলে পারফর্ম্যান্সের ওপর প্রভাব পড়ে। সাকিবের মতে, ‘আমি একটা কথা বলতে পারি, এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এটা ঠিকও হতে পারে ভুলও হতে পারে যে, যখন একটা প্লেয়ার রেডি থাকে তখনই খেলা উচিত। যখন সে রেডি না, তখন তার খেলাটা উচিত নয়। '
সাকিব আরও বলেন, 'পুরো ফিট না হয়ে খেলা কঠিন। পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে এটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে- আপনি কতটা ফিট কিংবা কতটা আনফিট। এখন এত বেশি ক্রিকেট হয় যে বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। টানা ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। বিশ্রাম পেলে অন্যান্য ক্রিকটাররা সুযোগ পাবে ফলে পাইপ লাইনে ক্রিকেটার তৈরি হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, আশা করি আলোচনা হবে। ’
তবে এ নিয়ে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ দুই পক্ষেরই সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই সাকিব। তিনি বলেন, ‘এটা দুজনেরই দায়িত্ব। বোঝারও দায়িত্ব। যখন একজন প্লেয়ার বলছে যে না, আমার মনে হয় আমার ব্রেক নেওয়া উচিত অথবা কোচিং স্টাফ থেকে বলা হচ্ছে, তোমার এই ব্রেকটা নেওয়া উচিত। তাই প্লেয়ারের ক্ষেত্রেও যেমন এটা বোঝা উচিত তেমনি কোচিং স্টাফদেরও বোঝা উচিত। কোচিং স্টাফ, বোর্ড ও প্লেয়ারের মধ্যে খুব ভালো একটা বোঝাপড়া থাকতে হবে। তা না হলে এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা কিংবা নেগেটিভ কথা তৈরি হতে পারে। ’
এদিকে আগামী শুক্রবার (০২ আগস্ট) মাকে সঙ্গী করে হজ পালন করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন সাকিব। হজ থেকে ফিরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে ফেরার আশা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম