বিশ্বকাপের চেয়ে অ্যাশেজকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে ক্রিকেট ইতিহাসের দুই চিরশত্রু ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই ঐতিহাসিক লড়াইয়ে যুক্ত হলো আরও দু’টি ইতিহাস।
কিন্তু সেই ইতিহাসের স্বাক্ষী হওয়ার দিনটা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার। কেপটাউন টেস্টের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের ১৮ মাস পর লাল বল মোকাবেলা করতে নেমে শুরুতেই দলকে বিপর্যয়ে ফেলে দেন ক্যামরন ব্যানক্রফট এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দলকে ১৭ রানে রেখে বিদায় নেন এই দুই ওপেনার।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) বার্মিংহামের এজবাস্টনের ২৫ হাজার দর্শক শুরুতে দুই অজি তারকাকে স্বাগত জানায় হলুদ সিরিজ কাগজ দেখিয়ে। এই অপমান হয়তো সইতে পারেননি তারা। ব্রডের বলে রুটকে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্যানক্রফট (৮)। এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে ব্রডকে দ্বিতীয় উইকেট উপহার দেন ওয়ার্নার (২)। ওকসের বলে তাদের দেখানো পথে হাঁটেন উসমান খাজা (১৩)।
ওয়ার্নার-ব্যানক্রফট না পারলেও এক বছরের সাজা কাটিয়ে সাদা পোশাকে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখলেন স্টিভেন স্মিথ। অজিদের সাবেক অধিনায়ক ছাড়া হাসেনি দলের আর কারও ব্যাট। ট্রাভিস হেড (৩৫) যা একটু লড়াই করেছিল। দু’জনে মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে অজিদের প্রথম ধাক্কাটা সামাল দেন।
হেডকে আউটের পর ওকস তৃতীয় শিকার বানান ম্যাথু ওয়েডকে (১)। অধিনায়ক টিম পেইনের অবদান মাত্র ৫ রান। জেমস প্যাটিনসন (০) ও প্যাট কামিন্সও (৫) সঙ্গ দিতে পারেননি স্মিথকে। সাবেক অধিনায়ক একা লড়াই করে তুলে নেন ফিফটি।
১২২ রানে ৮ উইকেট হারানো ব্যাগি গ্রিনদের দুঃসময়ে হাল ধরে আছেন স্মিথ ও পিটার সিডল। এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত ৬০.১ ওভারে হারিয়ে ১৭৯ রান করেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৭১ রানে স্মিথ এবং ২৭ রানে অপরাজিত আছেন সিডল।
ব্রড নিয়েছেন ৪ উইকেট। ওকসের শিকার ৩টি। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন বেন স্টোকস।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
ইউবি