বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ‘ক্রিকবাজ’কে জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়, তবে খুব শিগগিরই কোনো এক বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তোলা হবে।
২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১৬ থেকে কমিয়ে ১০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি।
আকরাম জানিয়েছেন যে, মূলত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রীয় চুক্তির মেয়াদ কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে এবং এতে খেলোয়াড়দের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই মত তার।
আকরাম খান বলেন, ‘পারফরম্যান্স একটা বড় বিষয়। আর আমরা নতুন খেলোয়াড়দের যুক্তও করতে পারি আবার যারা ভালো করছে না তাদের সরিয়েও দিতে পারি। পারফর্ম করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা খুব জরুরী। আমরা সবকিছু নিয়েই ভাবছি। ’
‘চুক্তিটা এক বছরের, কিন্তু ছয় মাস পর যে কাউকে আমরা নতুন করে যুক্ত করতে কিংবা বাদ দিতে পারি। এটা নতুন কিছু নয়। জুনের পর হয়তো ছয় মাসে বেশি হবে, এটা আমাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। এমন নয় যে, আমাদের ছয় মাসের নিয়ম মানতেই হবে। ফলে যে কোনো সময় আমরা এটা করতে পারি। ’
‘এটা বাড়তি চাপ নয় মোটেই। যারা ভালো করছে...অনেক খেলোয়াড়ের ভিড়ে ১২-১৩ জন আছে আছে মূল প্রতিযোগিতায়। ফলে আমরা সেরা পারফরম্যান্স দেখানো খেলোয়াড়দের রাখবো। অনেক সময় দেখা যায়, বোর্ড অনেক খরচ করছে এবং যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছে কিন্তু আমরা যেমনটা চাই তেমন ফল পাই না এবং এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। ’
গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের বেতন বাড়িয়েছে। বর্তমানে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির একজন খেলোয়াড় পাচ্ছেন প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা, ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাচ্ছেন ৩ লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ২ লাখ টাকা, ‘সি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা দেড় লাখ টাকা আর ‘ডি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন ১ লাখ টাকা।
বিসিবি’র কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়রা: মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমএইচএম