কিন্তু, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট দ্রুত রান তোলার জন্য অশ্বিনের আগে উমেস যাদবকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেয়। উমেস টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া পূরণ করেছেন ঠিকঠাক।
শেষ সময়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন ভারতীয় এই পেসার। দিন শেষে ৩ ছক্কা আর এক চারে ১০ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন। জাদেজা দিনশেষে অপরাজিত ৬০ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩.১ ওভারেই ভারত যোগ করেছে ৩৯ রান।
সাদা পোশাকে ক্রমেই মারমুখীর ভূমিকা নিচ্ছেন উমেস যাদব। আগের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। তার খেলা শেষ ১৭ বলের ৮টিই ছক্কা। বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠিয়েছেন একবার, সিঙ্গেল নিয়েছেন একবার আর ডাবল নিয়েছেন একবার। ৬টি ডেলিভারিতে কোনো রান নেননি। টেস্টে সবশেষ ১৭ বল খেলে তিনি তুলে নিয়েছেন ৫৫ রান।
রাঁচিতে নিজের আগের টেস্টে ব্যাট হাতে ৩১ রান করা ভারতীয় পেসার উমেস যাদব বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। যাদবের ১০ বলে সাজানো ইনিংসে কোনো বাউন্ডারি ছিল না। তবে, ছোটো এই ক্যামিও ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৫টি ওভার বাউন্ডারি। ৫ ছক্কায় ৩০ রানের পাশাপাশি একটি সিঙ্গেল নেন তিনি। তার ৩১ রানের ইনিংস টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটের রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২০০৪ সালে অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং ১১ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩১ রান, তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮১.৮১। গত ১৫ বছরে ফ্লেমিংয়ের এই স্ট্রাইকরেট ছিল সর্বোচ্চ। তা ভেঙে দেন উমেস যাদব। ১৫ বছরের রেকর্ড ভাঙা যাদবের স্ট্রাইকরেট দাঁড়ায় ৩১০.০০। এই তালিকায় তিন নম্বরে ২৭৭.৭৭ স্ট্রাইকরেটে ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ৯ বলে ২৫ রান করা অস্ট্রেলিয়ান তারকা রায়ান হ্যারিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআরপি