প্রথম ইনিংসে প্রায় ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইয়াসির। কিন্তু সেবার দ্বি-শতকের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফের দেখা পেলেন সেঞ্চুরির।
বিসিএলের গত আসরেও ফাইনালেও খেলেছে দু’দল। তবে সেবার রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় পূর্বাঞ্চলকে। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও কখনো শিরোপা জিতেনি তারা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ বা শেষদিনে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানে দিন শুরু করেছিল উত্তরাঞ্চল। কিন্তু নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে তারা অলআউট হয় ২৫৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম। এবার ১০১ রান খরচ করে নিলেন আরও ৫ উইকেট।
২১১ রানে ব্যাট করতে নামা পূর্বাঞ্চলের ফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য ড্র হলেও চলতো। তবে শুরু থেকে জয়কে মূল লক্ষ্য ধরে এগোতে থাকে ইমরুল কায়েসের দল। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে পূর্বাঞ্চল।
প্রথম ইনিংস ক্যারিয়ার সেরা ১৬৫ রান করেছিলেন ইয়াসির। এবার তিনে নেমে ৮৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১১০ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এ নিয়ে আটটি সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ১৮ রানে পিনাক ঘোষ ফিরে গেলেও মোহাম্মাদ আশরাফুলকে নিয়ে ১৬০ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির। তার বিদায়ের পর ইমরুলকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আশরাফুল
৮৬ বলে ৪টি চারে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন আশরাফুল। ইমরুল ১৬ বলে ১ ছক্কায় ১৭ রান করেন।
নিয়মিত বোলারদের ব্যর্থতার দিনে টানা তিন ওভার বোল করেন মুশফিকুর রহিম। ছয় বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বল হাতে নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
ইউবি