তবে নাটকীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা তিরিপানো শেষ পযর্ন্ত জিম্বাবুয়েকে সিরিজে সমতায় ফেরাতে পারেননি। নাভিশ্বাস তোলা জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ। জবাবে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে তারা থেমে যায় ৮ উইকেটে ৩১৮ রানে। ৪ রানের জয় পায় টাইগাররা।
তবে এমন একটি ম্যাচ জয়ের পর যেন হাঁফ ছেড়েই বাঁচলেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে শেষ সিরিজ খেলতে নামা ম্যাশ তো চাইবেনই শেষটা রাঙাতে। অবশ্য এমন একটি ম্যাচ হাত ফসকে ঠিকই হতাশ হতে হতো টাইগারদের। তবে নখ কামড়ানো এক ম্যাচ জয় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বাড়াবে মনে করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ‘জয় জয়ই, তবে এটা খুব ক্লোজ গেম ছিল। আমরা শেষ পযর্ন্ত নিজেদের স্নায়ু ভালোভাবেই ধরে রাখতে পেরেছি। জয় এমন এক বিষয়, যা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। এমন একটি টাইট ম্যাচ জয়, ভবিষ্যতে আপনাকে অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা দেবে। ’
তবে এত বিশাল টার্গেট দেওয়া সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে যেভাবে এগিয়েছে তার জন্য বাংলাদেশের বোলারদেরও কৃতিত্ব রয়েছে। অবশ্য মাশরাফি কোনোভাবে বোলারদের দোষ দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচ শেষে সবাই হয়তো বোলিং নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু এটা খুব ভাল ব্যাটিং উইকেট এবং শিশিরও ছিল। বোলারদের কঠিন সময় গেছে। ’
ম্যাচটিতে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন তামিম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ১২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এছাড়া খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংস।
এমন দানবীয় ব্যাটিংয়ের জন্য দীর্ঘদিনের সতীর্থকে প্রশংশায় ভাসিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘তামিম সবসময় স্পেশাল খেলোয়াড়, এমনকি সে রান না করলেও। যখন সে ব্যাটিং করে তখন ড্রেসিংরুমের সবাই রিল্যাক্সে থাকে। মুশি-সহ (মুশফিক) সিনিয়ররা সবাই ভাল ব্যাট করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
ইউবি