করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে বসে ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠানের সঙ্গে ইন্সটাগ্রামে লাইভের আড্ডায় এসব কথা জানান শামি। এ সময় তিনি জানান সেই বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের আগে ব্যথা কমানো জন্য তিনটি ব্যথানাশক পিল ও ইনজেকশন নিতেন।
শামি বলেন, ‘কখনো এমন কোনো ম্যাচ আসে যেখানে তোমাকে খেলতে হবে। ২০১৫ বিশ্বকাপে আমি প্রথম থেকেই হাঁটুর চোটে ভুগছিলাম। আমি এমনকি হাটতেও পারছিলাম না। আমি ব্যথানাশক ও ইনজেকশন নিতে শুরু করলাম। ফিজিও নিতিন প্যাটেল আমাকে সাহায্য করেন, সে আসর শেষ করতে আমাকে আত্মবিশ্বাস দেন। আমার অপারেশন করা দরকার ছিল, তবে তারা বললো তুমি ব্যথা সহ্য করতে পারলে তুমি বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। ’
এবার ধোনির প্রশংসা করে শামি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই আমার হাঁটু ভেঙে যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে আমি টিমকে বলি আর একটুও ব্যথা সহ্য করতে পারছি না। কিন্তু মাহি ভাই (ধোনি) এবং ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন ও আমার সামর্থ্যের ওপর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। ’
তিনি আরও বলে, ‘সে ম্যাচে আমি প্রথম স্পেলে মাত্র ১৩ রান দেই। পরে আমি মাহি ভাইকে বলি আমি আর বল করতে পারবো না। তিনি আমাকে বললেন সে পার্টটাইম বোলার ব্যবহার করবেন না আর আমাকে ৬০ রানের বেশি না দিলেই চলবে। আমি সেই পরিস্থিতিতে আর কখনো পরিনি। কেউ তো বলেছিল আমার ক্যারিয়ার সেখানেই শেষ। তবে আজও আমি খেলছি। ’
সেবার শেষ চারের ম্যাচেই বিদায় নেয় ভারত। অজিদের কাছে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এমএমএস