এ ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের হলেও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ‘টিম বয়’ নাসির মিয়া করোনা দুর্যোগে মাশরাফি, রিয়াদ, তামিম ও মুশফিকের সহযোগিতায় তার নিজ গ্রাম বাঙ্গালকান্দি ও পার্শ্ববর্তী সৈয়দ পাড়ায় ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ দেয়ার উদ্যোগ নেন।
নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন বিপ্লবের অনুমতি না নিয়ে ত্রাণ দেয়ায় চেয়ারম্যানের লোক রফিক, আপন, খাইরুল, রুবেল ও রাব্বিসহ ৮-১০ জন জামায়াত-শিবির অপবাদ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের কাছে থাকা ত্রাণসামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। পরে উল্টো আমাদের ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেয়নি। পরবর্তীতে মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের সহযোগিতায় মামলা করেছি।
লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন বিপ্লব বলেন, ‘ওসি কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া রাতের আঁধারে ত্রাণ দেয়া নিষেধ। তাই এমন হট্টগোল হয়েছে। ত্রাণ দেয়ার সময় ছাত্রদলের এক নেতা নাসিরের সাথে অংশ নেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ’
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান খান বলেন, ত্রাণ দেয়ার সময় একটা মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিলে আমি নিজেই সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে মামলা নেই। সেই সাথে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যখন এই দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতার চেষ্টা করছি, তখন কেউ কেউ আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এতে আমরা হতাশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এমএমএস