মৌখিকভাবে এ মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিকে ঠাক্কেরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মুম্বাই হাইকোর্ট। করোনার কারণে এই মামলার কার্য সম্পাদন হয় ভার্চ্যুয়াল ভাবে।
আইপিএলের দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জিতেছিল ডেকান চার্জার্স। কিন্তু ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দলটিকে টুর্নামেন্ট বাদ দিয়ে নতুন ফ্রাঞ্জাইজি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইপিএলের তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে মামলা ঠুকে দেয় ডেকান ক্রনিকল হোল্ডিংস।
তবে বিষয়টি মামলাধীন অবস্থাতেও নতুন ফ্র্যাঞ্জাইজি চেয়ে দরপত্র আহ্বান করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সান নেটওয়ার্ক দরপত্রটি জিতে নিয়ে পরের মৌসুমে সারাইরাইজার্স হায়দ্রাবাদ নিয়ে হাজির হয় আইপিএলে।
জায়গা হারালেও মামলা চালিয়ে যায় ডেকান চার্জার্স। শেষ পযর্ন্ত ৮ বছরের মামলায় জিতেছে তারা। প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬০৪৬ কোটি রুপি দেখায় দলটির মালিক। তারমধ্যে সুদ-সমেত সেই অঙ্ক দাঁড়ায় ৮ হাজার কোটি রুপি। তবে মুম্বাইয়ের আদালত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নির্দেশ দেয় ৪৮০০ কোটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।
অবশ্য এ রায়ের কপি এখনও হাতে পায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কপি পেলে আইনজীবির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন বিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী হেমাং আমিন।
এমনিতে আইপিএলের আসন্ন মৌসুম শুরু করতে না পারায় ৪ কোটি রুপির ক্ষতির মুখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তারমধ্যে ডেকানের এই বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি, চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
ইউবি