১৪৪ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন, তবু ভাবা হচ্ছিল সহজ লক্ষ্যের দিকে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে শেষ ৬৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় দলটি।
রোববার ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান করে। জবাবে ৪৮.৪ ওভারে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
২৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাও ভালো ছিল না অজিদের। দলীয় ৯ ও ৩৭ রানে ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কাস স্টোইনিসকে হারায় তারা। জোফরা আর্চারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে সাজঘরে ফেরেন তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্নাস লাবুশানের ১০৭ রানের জুটি স্বপ্ন দেখায় অস্ট্রেলিয়াকে।
কিন্তু এরপরেই উইকেটে ঝড় বইয়ে দেন ইংলিশ বোলাররা। ক্রিস ওকস, স্যাম কারেন, আদিল রশিদরা একের পর এক উইকেট তুলে নেন। ১০৫ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৩ করে ওকসের বলে বোল্ড হন ফিঞ্চ। দারুণ জুটি গড়া লাবুশানেকেও ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ফেরান সেই ওকস।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি ৩৬ করলেও, বাকিদের কেউই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় অজিদের করুণ হারের পরিণতি হয়।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ওকস, আর্চার ও স্যাম কারেন ৩টি করে উইকেট লাভ করেন। আদিল রশিদ একটি উইকেট পান।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক ইংল্যান্ডও নড়বড়ে ব্যাটিং উপহার দেয়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ বলে ৪২ করেন অধিনায়ক মরগান। এছাড়া ৩৯ রান আসে জো রুটের ব্যাট থেকে। তবে শেষদিকে টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান টম কারেন ও রশিদের ৭৬ রানের জুটিই বাঁচিয়ে দেয় ইংলিশদের। ৩৯ বলে ৩৭ করেন কারেন। আর ২৬ বলে ৩৫ করে অপরাজিত থাকেন রশিদ।
অজি বোলারদের মধ্যে স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ২টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।
দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন আর্চার।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এমএমএস