গ্লেন ফিলিপসের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড। এদিন কিউইদের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন পাওয়ার প্লের পর চারে নামা ফিলিপস।
বে ওভালে ঝড় তোলা স্বাগতিকরা প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করতে সমর্থ্য হয় ক্যারিবীয়রা।
ফিলিপস এদিন ৫১ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৪৬ বলে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে আগের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কলিন মুনরোর। ২০১৮ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে এই মাঠেই, ৪৭ বলে। আর তৃতীয় উইকেটে কনওয়ের সঙ্গে ফিলিপসের জুটি ১৮৪ রানের। তৃতীয় উইকেটে যা বিশ্বরেকর্ড। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে যে কোনো জুটিতেই রেকর্ড।
এছাড়া পাওয়ার প্লের পর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি রান ফিলিপসের এই ১০৮। আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেভিড মিলারের ১০১।
২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় সফরকারী উইন্ডিজরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।
কিউই বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া একটি করে উইকেট দখল করেন টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ইশ সোধি ও জিমি নিশাম।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৪ ওভারে ৪৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিল ২৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট ১৮ করেন।
এরপরেই শুরু হয় ডেভন কনওয়ে ও ফিলিপসের বিধ্বংসী ব্যাটিং। ইনিংসে ১৯.৫ বলে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান এই ডানহাতি। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৮টি ছক্কা। অন্যদিকে ৩৭ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। তিনি সমান ৪টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সবাই ওভার প্রতি ৯-এর ওপরে রান দিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ওশানে টমাস, ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ও পোলার্ড।
দারুণ ব্যাট করা ফিলিপস ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
এমএমএস