সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বিতর্কের সম্পর্ক বহু পুরনো। দর্শকের সঙ্গে ঝগড়া, আম্পায়ারের সঙ্গে বিতণ্ডা, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হওয়া, খেলোয়াড়দের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া, করোনাকালে কালীপূজার সময় ভারত ভ্রমণ থেকে শুরু করে কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছুটি নিয়ে আইপিএলে খেলার সিদ্ধান্ত জানানো এবং বিসিবির শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জানালেন, তিনি নিজে কখনোই বিতর্কে জড়াতে চান না, বিতর্ক তার পিছু ছাড়ে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, এরপর থেকে বিতর্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমি নিজে কখনোই বিতর্কে জড়াতে চাই না। অন্তত নিজে থেকে নয়ই। কিন্তু হ্যাঁ, এগুলো আমার সঙ্গে হয়ে যায়। আমাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। এখন এটা নিশ্চিত করা জরুরি যে আমি যেন আর কোনো বিতর্কে না জড়াই। ’
বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের ঘটনায় সাকিবের আইপিএলে খেলার অনাপত্তিপত্র পুনর্বিবেচনার কথা ভেবেছিল বিসিবি। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে এবং আইপিএল খেলতে এরইমধ্যে ভারতেও গেছেন তিনি। এ ব্যাপারে তার মন্তব্য, ‘(অনাপত্তিপত্রের বিষয়টি) চাইলেই এড়ানো যেত। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই হয়েছে। পুরো বিষয়টি ভালোভাবে সমাধান করায় আমি বিসিবির কর্মকর্তা, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ’
জাতীয় দলের সফর বাদ দিয়ে আইপিএলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আইপিএলে খেলার পেছনে আমার একটি উদ্দেশ্য আছে। আমি মনে করি এখানে থেকে সেরাটা কাজে লাগাতে পারব। আমি মনে করি, আমি আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারব এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য এটা (আমার আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা) কাজে দেবে। ’
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে নিজেকে ক্রিকেটার হিসেবে তার মূল্যায়ন ৫০-৫০। অর্থাৎ ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ১০০ করে নাম্বার দিতে বললে নিজেকে তিনি ৫০ করে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২১
এমএইচএম/এমএমএস