করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে জোরালো সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম।
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসার কথা ভারতের মাটিতে। এজন্য করোনা মহামারির মাঝেও আইপিএল আয়োজন করার পথ বেছে নেয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই), যাতে একটা উদাহরণ তৈরি করা যায় এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটাও নেওয়া যায়। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা কাজে দেয়নি। বরং করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে মাঝপথেই চলতি আসর স্থগিত করতে হয়। এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজনও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে ১৬টি জাতীয় দল। কিন্তু ৮ দলের আইপিএল আয়োজন করতে গিয়েই বিসিসিআই যেভাবে ব্যর্থ হলো, তাতে বিশ্বকাপ নিয়ে সংশয় স্বাভাবিক। কারণ জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও গত কয়েকদিনে আইপিএলের কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনা পজিটিভ হন। তাহলে ১৬ দলের টুর্নামেন্টের জৈব সুরক্ষা বলয় কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে সেই প্রশ্ন উঠছে। তারওপর আইপিএলের চেয়ে বিশ্বকাপে বিদেশি ক্রিকেটারদের সংখ্যাও থাকবে অনেক বেশি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এরইমধ্যে ভারত থেকে সরিয়ে বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার সম্ভবনা বাড়ছে। আগামী দুই মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভারত সফর করবে আইসিসির প্রতিনিধি দল। বিসিসিআই-এর একটি সূত্র ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে বলেছেন, ‘যদি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সেপ্টেম্বরে চলেও যায়, বছরের শেষদিকে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আইসিসি তো আর নতুন আয়োজক ঘোষণার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বলে মনে হয় না। ’
এর আগে আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে (দুবাই, শারজাহ এবং আবুধাবি) গত বছরের আইপিএল আয়োজন করেছিল বিসিসিআই। দুই মাসব্যাপী সফল ওই আয়োজনের জন্য আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডকে ৯০ কোটি রুপি দিয়েছিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়া প্রত্যেক ম্যাচ আয়োজনের আলাদা খরচ তো আছেই। এবার বিশ্বকাপের জন্যও হয়তো একই পথে হাঁটতে হতে পারে ভারতকে। যদিও শোনা যাচ্ছে, আইসিসির কাছে পুরো টুর্নামেন্ট এক শহরেই (মুম্বাই) আয়োজন করার প্রস্তাব দিতে পারে বিসিসিআই। কিন্তু এমন প্রস্তাব নাকচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
এমএইচএম