নিজের আত্মজীবনীতে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফকে ব্যাট তুলে মারার ঘটনার কথা বর্ণনা করেছেন শোয়েব আখতার। এতদিন চুপ থাকলেও এবার তার জবাবে সাবেক সিনিয়র সতীর্থকে ফোন করে রীতিমত ধমকেছেন ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হওয়া আসিফ।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসিফকে ব্যাট তুলে মারার ওই ঘটনা ক্রিকেটবিশ্বে ঝড় তুলেছিল। এমন ঘটনা ঘটিয়ে সেই বিশ্বকাপের মাঝপথেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল শোয়েবকে। ওই ঘটনা সামনে এনে এখনও বাজার গরম করছেন শোয়েব, এমন অভিযোগ তুলে এবার তাকে ফোন করে চুপ থাকতে বলেছেন আসিফ।
আসিফ বলেন, '১৩ বছর আগের ঘটনা অযথা টেনে এনে শোয়েব বাজার গরম করতে চায়। এসব আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই একদিন ওকে ফোন করে চুপ থাকার নির্দেশ দিয়েছি। এই এসব না বলে তার তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য কাজ করা উচিত। আসলে শোয়েব স্বপ্নের জগতে বসবাস করে। কখনও সে প্রধান নির্বাচক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আবার কখনো জাতীয় দলের কোচ কিংবা পিসিবির প্রধান হতে চায়। এসব উল্টাপাল্টা না ভেবে বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলা উচিত তার। '
শোয়েব আখতার তার আত্মজীবনী 'কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইওরস'-এ ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ঘটনা লিখেছেন। সেই ঘটনার জন্য তিনি শহীদ আফ্রিদিকে দায়ী করে লেখেন, 'আফ্রিদি সেদিন ড্রেসিংরুমে বাড়াবাড়ি করছিল। তার জন্যই পরিবেশ গরম হয়ে ওঠে। আসিফ তাকে সমর্থন দিচ্ছিল। সেটা দেখার পর মাথা গরম হয়ে যায়। আমি তো দুজনের দিকেই ব্যাট ঘোরাচ্ছিলাম। কিন্তু আফ্রিদি মাথা নামিয়ে ফেলায় ব্যাট লাগে আসিফের পায়ে। আফ্রিদির জন্য সবকিছু ঘটলেও নিজের কাজে আমি লজ্জিত। '
তবে শোয়েব আখতার যেভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন আফ্রিদি তা নাকচ করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে আফ্রিদি বলেন, ‘সেদিন আসিফ ও আমি হালকা মেজাজে কথা বলছিলাম। কিন্তু শোয়েব ভেবেছিল ওকে নিয়ে মজা করছি। এরপর মেজাজ হারিয়ে সে আসিফকে লক্ষ্য করে ব্যাট চালিয়ে দেয়। কিন্তু ওই ঘটনার পরেও শোয়েব কিন্তু আমার ভালো বন্ধু। সে খুব ভালো মনের মানুষ। আসলে মানুষের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। এটা এমন বড় কিছু নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
এমএইচএম