৯ দলের আসরের প্রথম চক্রটি কোনো জয় ছাড়াই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। করোনা মহামারির কারণে কয়েকটি সিরিজ বাতিল হওয়ায় মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলা মমিনুল হকের দলের অর্জন বলতে গত এপ্রিলের শ্রীলঙ্কা সফরে দুই টেস্টের একটি ড্র করা।
তবে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রে আর সবার মতোই নতুন করে শুরুর সুযোগ তাদের সামনেও। তবে এবারের চ্যালেঞ্জ আগের চক্রের চেয়ে বেশিই। কারণ দ্বিতীয় চক্রে যে তিনটি দল বাংলাদেশে খেলতে আসবে, তাদের বিপক্ষে স্পিন উপযোগী উইকেটে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়ার পুরনো ফর্মুলা কাজে লাগবে না নিশ্চিত।
এবারের চক্রে অন্য আটটি দলের মতো বাংলাদেশও ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। এর তিনটি সিরিজ খেলবে বিদেশে। বাকি তিনটি নিজেদের মাঠেই। আর প্রতিটি হোম সিরিজেই মমিনুলদের প্রতিপক্ষ এই ভারতীয় উপমহাদেশেরই।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের রানার্স আপ ভারতের সঙ্গে হোম সিরিজ আছে নতুন চক্রে। পাশাপাশি পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাও টেস্ট সিরিজ খেলবে এখানে এসে। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় চক্রের সূচি প্রকাশ করেছে। যে সূচি অনুযায়ী দেশের মাঠে কঠিন চ্যালেঞ্জ যোগ হওয়ার পাশাপাশি বিদেশের চ্যালেঞ্জও থাকছে আগের মতোই। প্রথম চক্রে বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই সিরিজটি একদম হারিয়েই গেছে। কারণ দ্বিতীয় চক্রেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনো টেস্ট নেই। অর্থাৎ তাদের বিপক্ষে আবার টেস্ট খেলার জন্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় চক্রে ইংল্যান্ডের সঙ্গেও নেই কোনো সিরিজ। তবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জিতে নিজেদের আঙিনায় প্রবল প্রতিপক্ষের মর্যাদা পেয়ে আসা বাংলাদেশের আলো-হাওয়া আবার ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের জন্য প্রতিকূল নয়। তাই স্পিন উপযোগী উইকেট বানিয়ে ইংলিশ ও অস্ট্রেলিয়ানদের নাকাল করে ছাড়ার পুরনো কৌশল অন্তত উপমহাদেশীয় প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে কাজে দেবে না।
দ্বিতীয় চক্রে তাই বাংলাদেশকে খুঁজতে হবে ভিন্ন পন্থাই। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো খেলা না থাকলেও আছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। তবে সেই সিরিজটিও খেলতে হবে কিউইদের মাঠে গিয়েই। যেখানে আজ পর্যন্ত কোনো সংস্করণেই জয়ের মুখ দেখা হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য একদম নিষ্ফলা ভূমি হয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকাও।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রে সেখানেও সিরিজ নির্ধারিত আছে। দেশের বাইরে তিনটি সিরিজের অন্যটি বাংলাদেশকে গিয়ে খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে প্রথম চক্রের দুই ম্যাচের সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য এবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরও সহজ হওয়ার কথা নয়। নতুন চক্রে ভালো কিছুর স্বপ্নে বিদেশ আগের মতোই কঠিন আছে, এখন কঠিন হয়ে গেল প্রতিটি হোম সিরিজও।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
এমএমএস