নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হবে বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা খারাপ হয়নি।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃহস্পতিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে ১১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু এরপর ১৫তম ওভারে গিয়ে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেট ১১৯ রান। চাকাভা এবং মাধেভেরে যতক্ষণ ব্যাটিং করছিলেন, জিম্বাবুয়েই ছিল চালকের আসনে। তবে মায়ার্সও ভালো ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু মোস্তাফিজের ৩ উইকেট আর শেষদিকে বার্লকে বিদায় করে দেওয়া শামিম হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচ মিলিয়ে স্বাগতিকদের ইনিংস ১৫২-তেই থেমে যায়।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের দলীয় ১০ রানেই প্রথম আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টাডিওয়ানাশে মারুমানি (৭)। পঞ্চম বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন। তবে পাওয়ার প্লেতে ৫০ পেরিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। আরেক ওপেনার মাধভেরেকে ফেরান সাকিব। নবম ওভারে এসে তিনি ২৩ বলে ২৩ রান করা এই ওপেনারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের রানের গতি কমেনি। ১০ ওভারেই তাদের স্কোর ৯০ হয়ে যায়। বিধ্বংসী ব্যাট করছিলেন রেগিস চাকাভা। ২২ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪৩ রান করা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যন রান-আউট হয়ে যান। ৯১ রানে তৃতীয় উইকেট পতন। ১ রানের ব্যবধানে আঘাত হানেন শরীফুল। বিপজ্জনক অল-রাউন্ডার সিকান্দার রাজা ফিরে যান কোনো রান না করে।
এরপর সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের চতুর্দশ ওভারের দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন তারিসাই মুসাকান্দা (৬)। এরপর পরের ওভারের প্রথম বলেই শরিফুলে ইসলামের বলে বোল্ড হন ২২ বলে ২ চারে ৩৫ রান করা ডিয়ন মায়ার্স। ১১৯ রানে ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে লুক জঙওয়ে করেন ১৬ বলে ১৮ রান।
সাইফউদ্দিনের ওই ওভারেই স্বাগতিকরা বড় ধাক্কা খায়। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান রায়ান বার্ল লং-অনে বেশ জোরে তুলে মেরেছিলেন। কিন্তু বদলি ফিল্ডার শামিম হোসেন বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন। দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরার আগে বার্ল করেন মাত্র ৪ রান।
চাপে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ে ১৯তম ওভারে হারায় শেষ দুই উইকেট। টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান এনগারাভাকে সরাসরি বলে বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর এক বল পরে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকানোর পর মুজারাবানিও বোল্ড হয়েই ফেরেন।
বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ২টি করে উইকেট গেছে সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলামের ঝুলিতে। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছে সাকিব ও সৌম্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১
এমএইচএম