ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার ...

চট্টগ্রাম: ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। যা বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃত।

 

করোনা মহামারীতে যখন বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব আতংকিত, তখন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল এগিয়ে এসেছিল মানুষের সেবায়। শুরুতে যখন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে অনীহা এবং সরকারি হাসপাতালসমূহ করোনা রোগীদের চাপে বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই আশার প্রতীক হয়ে গড়ে উঠে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল।

এই হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা, ঔষধ, খাবারসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল টেস্ট, কোভিড-১৯ টেস্ট পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। ৪৮ জন স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের অভ্যন্তরে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল। এই হাসপাতালে দুই হাজারের অধিক রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। এছাড়া টেলিফোনেও সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপের ১৬ হাজার বর্গফুটের একটি শেডে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই হাসপাতাল।  

করোনা মহামারীতে লকডাউনের শুরুতে ২৫ মার্চ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফিল্ড হাসপাতাল গড়ার স্বপ্নের কথা লিখেন। পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের মানুষকে ১০০ টাকা দানের মাধ্যমে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ার জন্য শরীক হতে আহ্বান জানান। মানুষের অভূতপূর্ব সাড়ায় মাত্র ১৪ দিনে তৈরি হয় চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। হাসপাতাল গঠনে সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ছিল অবিস্মরণীয়। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ছিল করোনাযোদ্ধা ও রোগীদের জন্য সাহসের বাতিঘর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাসপাতালের জন্য ৪ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছিলেন। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ও হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালসহ অনেক আইসোলেশন সেন্টার।  

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ও নির্বাহী ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, এই দিনে করোনা মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সময়ের প্রয়োজনে মানুষের জন্য এগিয়ে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার সকল ভলান্টিয়ার, সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের অংশ্রহণ ছাড়া এই ধরনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, আগামীতে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ফাউন্ডেশন ও ট্রাস্ট গঠন করে প্রতিমাসে একটি করে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলমান। যেখানে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, ঔষধ ও মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে। ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ স্ক্যানিং প্রোগ্রাম, ঠোঁট ও তালু-কাটা রোগীদের অপারেশন, চোখের ছানি অপারেশন সহ অবহেলিত মানুষের উন্নয়নে অন্যান্য মানবিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।