ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে ব্রীজ, কালভার্ট ও রোড সাইড ড্রেন ও নতুন ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে শতভাগ।

এতে চলতি বছর বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর অনেকাংশে মুক্তি মিলবে মনে করছেন বাস্তবায়নকারী সংস্থা।  

মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ৩৪ কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রকল্পটির পরিচালক ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. শাহ আলী।

 

অনুষ্ঠানে বাস্তবায়নকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রীজ, কালভার্ট ও রোড সাইড ড্রেনের কাজ শতভাগ শেষ হলেও খালের মুখে রেগুলেটর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে ৯৮ শতাংশ। এছাড়া রিটানিং ওয়ালের কাজ ৬৭.০৫ শতাংশ, সিল্ট ট্রেপ নির্মাণ কাজ ৩০.৯৫ শতাংশ, খাল পাড়ের রাস্তা নির্মাণ ১৮.৯০ শতাংশ এবং ফুটপাত নির্মাণের কাজ ১১ শতাংশ শেষ হয়েছে।  

ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. শাহ আলী শাহ আলী জানান, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি যে কাজগুলো আছে তা বাকি সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে। গত বছরগুলোতে নগরে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল তা এবার আরও কমে আসবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে যেসব খাল বা নালা রয়েছে তার কাজ শতাভাগ শেষ করা হয়েছে। বর্ষার আগে খালগুলো পরিস্কার করে দিলে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।  

তিনি বলেন, শুধু খাল বা নাল প্রশস্ত করলে হবে না, নগরবাসীকে আরও সচেতন হতে হবে। বাসা বাড়ির বিভিন্ন ধরণের বর্জ্য বিশেষ করে পলিথিন জাতীয় বস্তু যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। কারণ এ ধরণে বস্তুগুলো পানি চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত।  

প্রসঙ্গত, ৯ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। সর্বশেষ চার হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয় এ প্রকল্পের। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলেও নির্মাণকাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।