ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাসায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধরল পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
বাসায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধরল পুলিশ প্রেফতার ৩ জন

চট্টগ্রাম: জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এ ফোন পেয়ে একটি বাড়িতে হামলা করতে যাওয়া তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটকের পর ওই মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।  

বুধবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম।

তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১২) জুন রাতে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা তিনজনকেই আটক করি। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলা করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।  

গ্রেফতার তিনজন হলেন, মো. ইফাজ সুলতান, তৌসিফ আহম্মেদ ও সার্জিল চৌধুরী আলভী।  

পুলিশ জানিয়েছে, ইফাজ ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আগেও মাদক মামলা হয়েছিল। এসব মামলায় তাঁরা জেলও খেটেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাহিদা আক্তার রিটা ও হামলাকারী ইফাজের নানার বাড়ি একই এলাকায়। এই সূত্রে ইফাজ ও তাঁর মায়ের অতীতে মাদক মামলায় গ্রেফতারের বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বেশ কিছু সংবাদের কপি মানুষজনকে দেখিয়ে এসবের প্রতিবাদ জানান রিটার ছোট ভাই সাজ্জাদ হোছাইন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ইফাজ। সেজন্য দুজন সহযোগীকে নিয়ে ইফাজ গত সোমবার রাত ৭টার দিকে নগরীর চান্দা পুকুর পাড় এলাকায় অবস্থিত সাজ্জাদের বোন রিটার বাসায় যান। এ সময় রিটা দুই সন্তানকে নিয়ে বাসায় ছিলেন। তাঁর স্বামী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত মো. জাকেরুল হক তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন। ইফাজ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে রিটাকে ধাক্কা দেন। পরে ছুরির ভয় দেখিয়ে স্বর্নলংকার, টাকা পয়সাসহ মালামাল হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাঁরা আলমারি ও ওয়ারড্রব খুলে সোনা ও টাকা পয়সা খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যেই কৌশলে রিটা বাথরুমে ঢুকে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসায় হাজির হন পুলিশের সদস্যরা। পরে তিনজনকে আটক করেন তাঁরা। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের শরীরে তল্লাশি করে ছুরি ও মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়।

মামলার বাদি সাহিদা আক্তার রিটা বাংলানিউজকে বলেন, মদ্যপ অবস্থায় ইফাজসহ তিনজন আমার বাসায় ঢুকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে আলমারি আর ওয়ারড্রব ভাঙচুর করেন। এ সময় আমি কৌশলে বাথরুমে ঢুকে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। দ্রুত তাঁরা এসে আমি ও আমার দুই সন্তানকে উদ্ধার করেন এবং তিনজনকে আটক করে নিয়ে যান। তাদের কাছ থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।