ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ।  

রোববার (১৮ জুন) মধ্যরাতে ডিম ছাড়ে মা মাছ।

জানা গেছে, বছরের এপ্রিল থেকে জুনের যেকোনো সময়ে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার তিথি বা জো থাকতে হবে।

কিন্তু এ বছরের এপ্রিল মাস শুরু হওয়ার পরে ইতিমধ্যে পাঁচটি জো চলে যায়। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এবং নদীতে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় ডিম ছাড়েনি মা মাছ। সর্বশেষ রোববার দিবাগত রাতে মা মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়ে।

একই সময়ে নদীর স্থানীয় এবং খাগড়াছড়ি, মানিকছড়িসহ নদীর উজানে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ি ঢল নামবে এবং নদীতে ফেনাসহ পানি প্রবাহিত হবে। ঠিক এই সময়ে পূর্ণ জোয়ার শেষে অথবা পূর্ণ ভাটা শেষে পানি যখন স্থির হয়, তখনই কেবল মা মাছ ডিম ছাড়ে।

হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার পর রোববার রাতে হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। নদীতে পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের সময়ে পুরোদমে নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিম দেয়। ডিম আহরণের জন্য অনেক দিন দরে প্রস্তুত ছিলেন জেলেরা। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে রাত থেকেই নদীতে দলবেঁধে ডিম সংগ্রহ করতে নেমে পড়েছে। এখনো ডিম সংগ্রহ করছে সংগ্রহকারীরা। পর্যাপ্ত ডিম পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘এখনো জোয়ার পুরোপুরো আসেনি। এখন গড়দুয়ারা এলাকা থেকে শুরু করে উত্তর মাদার্শার মাঝামাঝি এলাকায় ডিম পাচ্ছেন জেলেরা। সম্পূর্ণ জোয়ার হয়ে গেলে তখন সব জায়গায় ছড়িয়ে যাবে। ’

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, রোববার দিবাগত রাতে দ্বিতীয় জোয়ারে হালদায় ডিম ছেড়েছে রুই জাতীয় মাছ। স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা নদীর নাপিতের ঘাট, আমতুয়া এবং আজিমের ঘাট এলাকা থেকে ডিম সংগ্রহ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এমআর/বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।