ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে কোরবানির ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
চট্টগ্রামে কোরবানির ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে কোরবানির ঈদে ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রামের আড়তদাররা।  এজন্য নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতিও।

চামড়া সংগ্রহের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় লবণ মজুদসহ জনবল ঠিক করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে বিভিন্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এবার কোরবানি দেওয়া হতে পারে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি পশু। তবে অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি। বাকি গরু এসেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে।  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর মধ্যে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়া দাম ছিল ৪০-৪৪ টাকা। তবে খাসি ও বকরির চামড়া গত বছরের দামেই বিক্রি হবে। খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠায় আছেন চামড়া সংগ্রহকারীরা। মাঝির ঘাট পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা অপরিশোধিত লবণ বিক্রি হচ্ছে ১১৫০-১২৫০ টাকায়। লবণ ব্যবসায়ীরা জানান, একটি গরু বা মহিষের চামড়া সংরক্ষণ করতে ৮-১০ কেজি লবণ প্রয়োজন।  

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন জানান, এ বছর চার লাখ চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্য রয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণ খরচ বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। প্রায় ২৫ জন আড়তদার চামড়া সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, সব চামড়া সংগ্রহ করার প্রস্তুতি রয়েছে। কাঁচা চামড়া কেনার পর লবণ দিয়ে সংরক্ষণে প্রতি বর্গফুট চামড়ার জন্য ২০ টাকার বেশি খরচ হয়। লবণের দাম বাড়ার কারণে এই খরচ আরও বেড়েছে।

চট্টগ্রামে সমিতিভুক্ত আড়তদারের সংখ্যা ১১২ জন। এর বাইরে আরও অন্তত ১৫০ আড়তদার রয়েছে। ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে অনেক আড়তদারের টাকা বকেয়া রয়েছে। ফলে তারা ব্যবসার মূলধন হারিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।