ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কালুরঘাট রেলসেতু সংস্কারে তোড়জোড়  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩
কালুরঘাট রেলসেতু সংস্কারে তোড়জোড়   ...

চট্টগ্রাম: কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও নানা জটিলতায় সংস্কার হয়নি কালুরঘাট সেতু। এবার সেই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করতে বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে ফেরি।

সংস্কারের সময় পুরোনো সেতু দিয়ে চলবে না কোন যানবাহন।  

সেপ্টেম্বরের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের চলমান কাজ শেষ করে ট্রেন চলানোর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হলে এ মাসেই কাজ শুরু করতে হবে।

তাই তিন মাসের মধ্যে এ সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করতে চায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি আমরা দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু করতে চাই তাহলে এ তিন মাসের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে। ইতিমধ্যে ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৮২ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ।  

জানা গেছে, কালুরঘাট সেতু সংস্কারকাজে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের সুপারিশ অনুযায়ী সংস্কার করা হচ্ছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরুর আগে সেতু মজবুত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্কারকাজ শেষ করতে লাগতে পারে তিন মাস। এই সময়ে ট্রেন ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। যানবাহন পারাপারের জন্য কর্ণফুলী নদীতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি ফেরি। বর্তমানে সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে ১০ টন ভারী ইঞ্জিন চলাচল করে। সেতু পার হওয়ার সময় গতি থাকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। তবে কক্সবাজারগামী ইঞ্জিনের ওজন হবে ১২-১৫ টন। ট্রেনের গতি হবে ৮০-১০০ কিলোমিটার। এ কারণে সংস্কার ছাড়া দোহাজারী-কক্সবাজার রেল চলাচল প্রায় অসম্ভব।  

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শিগগিরই কালুরঘাট রেলসেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় মালামাল আনার কাজ শুরু করেছে। ৮-১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।  

রেলওয়ে প্রকৌশলীরা জানান, ২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুতে বড় ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে আরেক দফা সংস্কার করা হয়েছিল। কক্সবাজারগামী ট্রেনের ইঞ্জিনের ভর হবে ১২-১৫ টন। ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৮০-১০০ কিলোমিটার। কালুরঘাট সেতুর বর্তমান অবস্থার কারণে এই গতিতে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে না। অন্তত ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে। এ জন্য বুয়েটের পরামর্শক দলের পরামর্শ অনুযায়ী সেতু সংস্কার করা হচ্ছে। ২০০৪ ও ২০১২ সালে দুই দফায় সেতুটি সংস্কার করেছিল রেলওয়ে। কিন্তু এরপরও সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ।  

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, কালুরঘাট সেতু সংস্কারকাজ শুরু হলে ফেরি সার্ভিস চালু হবে। আমরা দুটি ফেরি প্রস্তুত রেখেছি। ফেরিতে কোন ধরনের যানবাহন থেকে কত টাকা ভাড়া রাখা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। বিষয়টি জানাতে সেতু মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে টোলের হার নির্ধারণ করার পর ফেরি সার্ভিস চালু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।