ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব বাড়ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব বাড়ছে

চট্টগ্রাম: বিভিন্ন ধরনের বাতব্যথা, প্যারালাইসিস, স্ট্রোকজনিত হ্যামিপ্লেজিয়া, বয়সজনিত ও হাড় ক্ষয়জনিত ব্যথা ও শারীরিকভাবে অক্ষম, জিবিএস, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, আঘাত ও স্পোর্টস ইনজুরিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত জরুরী। এসব রোগীদের জন্য অনেকক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি একমাত্র চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন (বিপিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এর আগে এই দিবসটি উৎযাপন উপলক্ষে সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘বন্দর নগরের চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতালসহ ২০০টিরও অধিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ইন্টার্নশীপসহ পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) ডিগ্রিধারী ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন কেবল ৩০ জন। তাই অনেক ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্ট দিয়ে চলছে অপচিকিৎসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রোগীরা’।

বক্তারা বলেন, ‘অনেক ফিজিওথেরাপি সেন্টারেই বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ এর নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এমন স্পর্শকাতর চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে অনেকেই। অনেক সেন্টারে ডিপ্লোমা পাস করে বিপিটি লিখে পরিচয় গোপন করে নামের আগে ফিজিও লিখে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। আবার বিপিটি (ইন কোর্স) লিখে নিজের পরিচয় গোপন করছেন যা বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন আইনের ধারা ২১ লংঘন হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিতে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই নিজেকে ফিজিওথেরাপিস্ট, টেকনিশিয়ান কিংবা ফিজিও পরিচয় দিয়ে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিচ্ছেন, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন রোগীরা’। ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের কাছে চিকিৎসা না নেওয়ার জন্য রোগীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা। সেইসঙ্গে এসব ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান বক্তারা।
 
বিপিএ চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্রগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক এবং লেখক ও গবেষক খনরঞ্জন রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. বশির আহমেদ, রোটারি ডিস্ট্রিক্ট পিপি মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পিপি রাশেদুল আমিন, রোটারি ক্লাব অফ চিটাগং সাগরিকার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বাবুল, সিপিআরসির পরিচালক এম এ জলিল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ‘সিআরপি চট্টগ্রামের সিএম ডা. খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. সাদেকুর রহমান, প্রয়াস চট্টগ্রামের সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. জাহেদুল ইসলাম, ডা. প্রাঞ্জল বড়ুয়া, ডা. মনির, লায়ন্স হাসপাতালের ডা. সুজন, বিসিবি’র ফিজিও ডা. শিমুল, ডা. ইমরান, ডা. তাসলিমা ও ডা. রফিক প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।