ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শুভবুদ্ধি দিয়ে আমরা সকল অশুভ তৎপরতা রোধ করবো: চবি উপাচার্য 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
শুভবুদ্ধি দিয়ে আমরা সকল অশুভ তৎপরতা রোধ করবো: চবি উপাচার্য  ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, আমাদের রাজনীতি কিভাবে পরিচালিত হয়, আপনারা জানেন। আমি চাইলেও সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারি না।

আমাদের অনেকগুলো প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রতিবেদন সাপেক্ষে আমরা মামলা করবো এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের চারুকলা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।  

শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংকটের বিষয়ে চবি উপাচার্য বলেন, রেলমন্ত্রী বলেছিলেন বিদেশ থেকে বগি আসলে চবির জন্য দিবেন। কিন্তু নতুন বগি আসলে সেটা অন্যদিকে চলে যায়। তবে আমরা চেষ্টা করছি শাটলের বগি বৃদ্ধি করার।  

শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বিতর্কের বিষয়ে চবি উপাচার্য বলেন, গত চার বছরে ইউজিসি কোনো লোক নিয়োগ দেয়নি। কিন্তু আমাদের নতুন বেশকিছু হল উদ্বোধন করেছি, যেগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লোক প্রয়োজন। তাই খণ্ডকালীন লোক নিয়োগ দিতে হচ্ছে।  

লিখিত বক্তব্যে চবি উপাচার্য আরও বলেন, আপনারা জানেন বিগত কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একাংশ চবি উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে যে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে তা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রতিবাদ বা আন্দোলন পরিচালনা করা হলেও আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই, ১৯৭৩ সালের চবি আইন অনুযায়ী সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে সর্বোচ্চ দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদ। যদি সত্যিই কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে থাকে, শিক্ষক সমিতির সিন্ডিকেটের কাছে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা পক্ষ চাইলে দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক আদালতের শরণাপন্নও হতে পারেন। সেটা না করে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা এবং পরবর্তীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নিয়ম-অনিয়ম নয়, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরীর মধ্য দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা।

চবি উপাচার্য আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভার মাধ্যমে ওই অধ্যাপককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।

গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি দফায় দফায় ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রম এবং সংযম প্রদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা বদ্ধপরিকর।

উপাচার্য আরও বলেন, এ ঘটনায় আহত কয়েকজন ছাত্রকে দেখতে আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং তাদের সুচিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের শুভবুদ্ধি দিয়ে আমরা সকল অশুভ তৎপরতা রোধ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেষ্ট থাকব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ, প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজম সিকদার, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।