ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জমে উঠছে চট্টগ্রামের বাণিজ্য মেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
জমে উঠছে চট্টগ্রামের বাণিজ্য মেলা

চট্টগ্রাম: পলোগ্রাউন্ড মাঠের মেলার বাইরের মেলা জমজমাট। টিকিট কেটে মূল মেলায় ঢুকছে নানা বয়সী মানুষ।

যেসব স্টল, প্যাভেলিয়নে পণ্যের পসরা সেখানেই ভিড়। তান্দুরি চা, আইসক্রিম, আচারের স্টলগুলোতে দম ফেলার ফুরসত নেই কর্মীদের।
যদিও অনেক স্টল, প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ চলছে।  

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩১তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার চিত্র ছিল এমন।

মেলায় ঢুকতেই মার্কসের প্যাভেলিয়ন। গৃহিণীদের ভিড় বেশি এখানে। মার্কস ফুল ক্রিম ২ কেজি ১৬৬০ টাকা হলেও মেলায় ১০০ টাকা ছাড়, ১ কেজিতে ৫০ টাকা ছাড়, ৫০০ গ্রামে ২৯ টাকা ছাড়, ৪০০ গ্রামে ২৫ টাকা ছাড়।  

২১৫ টাকার ৫০০ গ্রাম সিলন গোল্ড চা ১৮০ টাকা, ৯০ টাকার সিলন গোল্ড ব্লেন্ড টি ব্যাগ ৭৫ টাকা, ২১০ টাকার ৪০০ গ্রাম ফ্যামিলি ব্লেন্ড ব্ল্যাক টি ১৭৮ টাকা, সঙ্গে ৫০ গ্রাম চা ফ্রি। এখানে পাওয়া যাবে ২০ টাকার কফিও।

চেম্বার কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নারের সঙ্গে চোখ আটকে যাবে গাছের চারায়। ব্র্যাক নার্সারি এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট সুপারভাইজর মো. মহিবুল্লাহ জানান, আমাদের স্টলে ডেস্ক প্লান্ট, ইনডোর প্লান্ট, সার, কীটনাশক, পট (প্লান্টার) আছে। সর্বনিম্ন ১০০ টাকায় পেরুভিয়ান ক্যাকটাস যা পলি প্যাকে বিক্রি হচ্ছে। বট গাছের বনসাই আছে দেড় হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। নগরের হালিশহরের ওয়াপদা মোড়ে নিজস্ব জায়গায় স্থায়ী নার্সারি আছে আমাদের।  

এছাড়াও সারা দেশে ১৫টি নার্সারি আছে ব্রাকের। সেখানে দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি হয়। যোগ করেন তিনি।  

মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিদ্যানন্দের বাঁশের তৈরি দোতলা প্যাভেলিয়নটি। মেলার উদ্বোধনী দিন থেকে চালু রয়েছে এটি। এখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তৈরি পণ্যসামগ্রীর পসরা আছে। দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ এসব শৌখিন জিনিসপত্র নিয়ে। এখানে ছবি তুলতে মরিয়া তরুণ তরুণীরা।  

বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক রানা বাংলানিউজকে জানান, আমাদের প্যাভেলিয়নে বিক্রি করা সব টাকা পথশিশুদের খাবারের তহবিলে  যাবে। এখানে সর্বনিম্ন ১০ টাকায় ১ টি মাটির মঙ্গলপ্রদীপের বাটি পাবে। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকায় কিছু ছবি বিক্রি করছি আমরা। শীতল পাটি ১-২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। বান্দরবান থেকে আনা চাকমাদের

ফুলবারেং (ছেলে পক্ষ গয়না ভরে কনের বাড়িতে পাঠনোর পাত্র)  ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। টপস ও থামি আছে। বই আছে। লাউয়ের থুইয়া (পানির পাত্র) আছে।

বেচাকেনা চলছে মিঠাই, আরএফএল, গাজী, কনকা,  সেভয় আইসক্রিম, ক্লাসিক্যাল হোমটেক্স, টেস্টি ট্রিট, ওয়াকার, চাঁদপুরের মৃৎশিল্প, ঢাকা ফুল বাজার, জান্নাত কার্পেট হাউসে।

আপন টেক্সে ১ সেট চৈতি প্রিন্ট থ্রিপিস ৪৫০ টাকা, ৩ সেট ১ হাজার ২০০ টাকা। ঢাকা হিজাব ওড়না কালেকশনে ১৫০ টাকায় এলেক্স ও অনলাইন হিজাব বিক্রি হচ্ছে। ফুট ক্লগে ২০০ থেকে ৭৫০ টাকায় ছোট বড় সবার স্যান্ডেল মিলছে। মাহি সু গ্যালারিতে ২০০ থেকে ৬০০ টাকায় স্যান্ডেল কেডস বিক্রি হচ্ছে। লাইবা রুটি মেকার আতার ভেদে ২২৫০, ২৬৫০, ৩২৫০, ৩৫০০ টাকা।

মেলায় জমে উঠছে দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের শিশু কর্নারের রাইডগুলো। প্রতিটি রাইডের টিকিট ৫০, ৬০, ১০০ টাকা।

মেলায় কথা হয় গৃহিণী রওশন ইকবালের সঙ্গে। তিনি জানান, স্কুলে বাচ্চাদের টিকিট দিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। বাচ্চাদের বায়না পূরণ করতেই মেলাতে আসা। আশাকরি শুক্রবারের মধ্যে মেলা জমজমাট হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।