চট্টগ্রাম: বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে নগরের বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
রোববার (২৬ মে) রাতে নগরের আকমল আলী ঘাট, রাসমনি ঘাট, ১ নম্বর ঝিল সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা এক হাজারের অধিক আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি এবং সেখানে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করেছি যেন আশ্রয় নেওয়া জনগণ দুর্ভোগে না পড়েন।
আকমল আলী ঘাট জেলেপল্লী পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, জেলে পল্লীতে বসবাসকারী আড়াই হাজার পরিবারের মধ্যে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত মেরামত কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে উল্লেখ করে পাহাড়ে বসবাসরত জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধি, ভলান্টিয়ারদের জোর তাগিদ দেন।
জেলা প্রশাসক পরে ১ নম্বর ঝিল সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং উদ্ধার তৎপরতায় নেতৃত্ব দেন। এসময় তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া জনগণের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, আনসার বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১১৪০টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, মোমবাতি, ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন মজুদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
বিই/এসি/টিসি