ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের সুমহান ঐতিহ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের সুমহান ঐতিহ্য ...

চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডে জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের সুমহান ঐতিহ্য।

বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি ধর্মপরায়ণ বলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সর্বদাই সহনশীল।
বাংলাদেশের মূল শক্তিই হলো বাঙালি জাতিসত্তা। জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি। সবার ভাষাই বাংলা। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্ব-স্ব ধর্ম পালন করলেও উৎসবের আনন্দ সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে উদযাপন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যথার্থ বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

রোববার (৭ জুলাই) নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রম সামনে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চট্টগ্রাম  আয়োজিত ২৭তম কেন্দ্রীয় রথযাত্রার ধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

উদ্বোধক নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামে আমরা একসাথে আনন্দ উৎসব করবো। উৎসবে একসঙ্গে আমরা শামিল হবো। চট্টগ্রামে কোনো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। এটাই আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। কোনো অপকৌশলের রাজনীতি বাংলাদেশে করতে দেওয়া হবে না। প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবে না।

প্রধান বক্তা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা হারুন লুবনা বলেন, এখনো বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর সংহতি ও জাতীয় ঐক্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হিন্দু-মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সব ধর্ম এবং বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করেছিল- যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পণ্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ও তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় রথযাত্রায় মহান আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের উড়িষ্যা থেকে আসা ইসকনের অন্যতম সন্যাসী শ্রীমৎ ভক্তি নীলাচল স্বামী মহারাজ।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন তালুকদার, চট্টগ্রাম হিন্দু ধর্ম খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, কাউন্সিলর প্রফেসর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মন্জু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, নগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, সুমন দে, মহিলা কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সহ সভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, সুবল সখা দাস ব্রহ্মচারী, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।  

ঐতিহ্যবাহী মহাশোভাযাত্রা নন্দনকাননস্থ ডিসি হিল থেকে শুরু হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নন্দনকানন শ্রীশ্রী গৌর নিতাই আশ্রমে এসে শেষ হয়। মহাশোভাযাত্রায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভক্তবৃন্দসহ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পৌরাণিক সাজ ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যোগদান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।