ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেল স্টেশন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হন মনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
রেল স্টেশন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হন মনা

চট্টগ্রাম: নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে আলোচিত মো. সাহেদ হোসেন মনা হত্যাকাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ।  

পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় অধিপত্যে বিস্তারের জেরে মনাকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ।

খুন করার পরপরই আসামিরা চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ জেলা নবীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা।
 

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিমপির) দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনান মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার চৈঠপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো, মো. জুয়েল (৩৪), মো. বশির (২৬), মো. সাগর (২৮) ও মো. জুয়েল প্রকাশ ছোট জুয়েল (২৫)।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হত্যাকারীরা ও মনা আগে একপক্ষে থাকলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়ে আলাদা দুইটি পক্ষ তৈরি হয়। ঘটনার আগে জুয়েলের পরিচিত কালুর দোকান ভাঙচুর করে মনা। এটি নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। মনাকে হত্যার পরপরই আসামিরা চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিল।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মনা আসামি জুয়েলের পরিচিত কালুর দোকান ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মনা ও জুয়েলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। গত ৭ জুলাই রাতে পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনাকে রিয়াজউদ্দিন পাখি গলির দুই নম্বর গলিতে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।  

পুলিশ ও থানা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে এলাকায় হত্যা করা হয় সাহেদ হোসেন মনাকে। মনা হত্যাকাণ্ডে তার বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি করা হয় জুয়েল বাহিনীর প্রধান জুয়েলকে। এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, রহিম (২৬), জুয়েল প্রকাশ মুরগি জুয়েল (৩২), মো.সজীব (২৪), শেখ ফরহাদ (২২),  মো. শুক্কুর (৩৫), হানিফ প্রকাশ মাছ হানিফ (৩৫), সবুজ (৩২), সাগর (২৮), বশির প্রকাশ টিউমার বশির (৩০), ইকবাল (৩১) ও শাকিল (২০)। হত্যার পরদিন গত ৯ জুলাই  ফরহাদ ও সজীব নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।