ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ আগস্টে কাউকেই নাশকতা করার সুযোগ দেওয়া হবে না: মীর হেলাল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
১৫ আগস্টে কাউকেই নাশকতা করার সুযোগ দেওয়া হবে না: মীর হেলাল

চট্টগ্রাম: বিএনপি'র কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার বিপ্লব ছিল গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন। সে আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

আমরা যদি গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে গণতন্ত্রের জন্য যারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন সেসব শহীদ ছাত্র জনতার আত্মা শান্তি পাবে না। খুনিদের বিচারের মাধ্যমে এমন নজির স্থাপন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এরকম দুঃসাহস না দেখায়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) হাটহাজারীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হলো হত্যা, লুটপাট আর মিথ্যাচারের রাজনীতি। দেশের সকল গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে গেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার আর গুজব রটাচ্ছে। তারা সাম্প্রদায়িক ইস্যু সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি একটি দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বিএনপি'র নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।  

অবস্থান কর্মসূচি শেষে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন।  

এতে সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নূর মোহাম্মদ, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গিয়াসউদ্দিন চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মো. অহিদুল আলম এর যৌথ সঞ্চালনায়, প্রধান বক্তা ছিলেন হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য  আলহাজ্ব জাকের হোসেন।

এতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল শুক্কুর কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস চৌধুরী, মো. ওসমান গনি, মো. আবুল হাশেম চৌধুরী, মো. ইসমাইল হোসেন, আলহাজ্ব রহমতুল্লাহ মেম্বার, নুরুল আলম মফিজ, নিজাম উদ্দিন হাকিম, মো. মোজাম্মেল হক, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মো. আব্দুল মন্নান দৌলত, এডভোকেট রিয়াদ, মেখল ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জিএম সাইফুল ইসলাম, ধলই ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম মেম্বার, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব মেম্বার, গুমানমর্দ্দন ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. হোসেন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, ছিপাতলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ডাঃ আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, গড়দুয়ারা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বাদশা মেম্বার, দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম টিটু, শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন, ১নং চসিক দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মঞ্জু, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ মিন্টু, চট্টগ্রাম জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মহসিন, হাটহাজারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. নুরুল কবির তালুকদার,  হাটহাজারী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. এমরান চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব গাজী আবদুল মুবিন, হাটহাজারী পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, হাটহাজারী পৌরসভা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আরেফিন সাইফুল, হাটহাজারী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. নাসিম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মো. আজিম,  হাটহাজারী পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী রকি, সদস্য সচিব মো. শাহেদ খাঁন, হাটহাজারী পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিন সহ প্রমুখ।

একইদিন দুপুরে নগরের বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে বিগত দেড় যুগ আমরা ভয় এবং আতঙ্কের রাজত্বে ছিলাম। এর বিরুদ্ধে আমরা নিরন্তর সংগ্রাম করেছি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই আন্দোলনে আমরা আমাদের অনেক ভাই বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছি। শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো আওয়ামী লীগের চক্রান্ত থামেনি। তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আজকে গণতন্ত্রের যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেই বিজয়কে আমাদের সংহত করতে হবে। কে বৌদ্ধ কে হিন্দু কে মুসলিম কে খ্রিস্টান এটা বিএনপি কখনো পার্থক্য করেনা।  

চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল কবির রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলম, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. আজম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, ওয়ার্ড বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক মো. ওসমান ও  সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান প্রমুখ।  

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মিছিলটি নগরের কাজীর দেউরী স্টেডিয়ামের মূল ফটক থেকে শুরু করে নুর আহমদ সড়ক,লাভ লেইন,এনায়েত বাজার হয়ে বিভিন্ন গুরুতপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে  কাজির দেউরি কাঁচা বাজার সংলগ্ন মোড়ে অবস্থান করে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিসংগত আন্দোলনে তৎকালীন সরকার এবং সরকারের মদদপুষ্ট পুলিশ বাহিনী ঠান্ডা মাথায় গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। একইসঙ্গে গুলি-হামলা চালিয়েছে সরকারের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। গণহত্যার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। আর তার অনুগত পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিরস্ত্র মানুষের ওপর নিষিদ্ধ মরণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এই গণহত্যার বিচার করতে হবে। যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।  

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গুম-খুন করা হয়েছে। ছাত্রদের আন্দোলন দমনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পাখির মতো মানুষ হত্যা করেছে । তাদের হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত। তারা এ দেশের মানুষের কাছে এখন খুনি হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে খুনের বিচার করতে হবে। যাতে এ দেশে আর কেউ তার মতো স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, শহিদুল্লাহ বাহার, অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম, সেলিম রেজা, হারুন আল রশীদ, মাঈনুদ্দিন রাশেদ, মামুনুর রহমান, এন আই চৌধুরী মাসুম, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
 এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।