চট্টগ্রাম: অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং পরবর্তীতে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) সাবেক সংসদ সদস্য ও রেলপথ সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম গোলাম সারওয়ারের আদালতে মামলাটি করেন রাউজান উপজেলার ১১ নম্বর পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজদৌল্লাহ।
মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সোহাইল লুৎফুল হাসনাত বাংলানিউজকে বলেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং পরবর্তীতে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নির্দেশে ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাদীকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। তাকে বাঁচাতে স্ত্রী-কন্যা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঞ্ছিত করা হয়। আসামি মো. মাসুদ তাদের আলমারির তালা ভেঙে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার এবং আসামি লিটন দে ১৫ হাজার টাকা লুট করে৷ এছাড়া বাড়ির মূল্যবান আসবাব ভাঙচুর করে চার লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। একইসময় বাদীকে অপহরণ করে হত্যা উদ্দেশ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ সাকিনের নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির পেছনে একটি টিনশেড ঘরে আটকে রাখে। এরপর তার মাথার চুল ও মুখের দাঁড়ি ফেলে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে দেখানো হয়। এরপর সেই ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়। রাতে অস্ত্র গুলি এনে দেওয়া হয় বাদীকে। পরদিন সকালে পুলিশকে খবর দিয়ে অস্ত্র-গুলি সহ বাদীকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। অস্ত্র মামলায় বাঁদীকে পাঠানো হয় কারাগারে। এছাড়া আসামি টনি বড়ুয়া মৃত্যুর হুমকি দিয়ে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তার ভাই ৩ লাখ টাকা এনে টনির হাতে তুলে দেয়। এরপর রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় দেবনাথ এবং ইলিয়াছ বাদীকে আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় করে থানায় নিয়ে যায়। অজয় দেবনাথ বাদীকে দিয়ে তার স্ত্রীর কাছে ফোন করিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করেন। পরে রাউজান থানায় অস্ত্রসহ ছবি তুলে অস্ত্র মামলায় বাঁদীকে পাঠানো হয় কারাগারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি