ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সবাই মিলে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
‘সবাই মিলে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো’

চট্টগ্রাম: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (২১ আগস্ট) চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর এলাকায় সমাবেশে এই মন্তব্য করেন।

জুলুম থেকে বাংলাদেশকে চির জীবনের জন্য মুক্ত  করার আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আল্লাহ রহম করুন। আসমান থেকে বরকতের দরজা খুলে দিন।

জুলুম থেকে বাংলাদেশকে চির জীবনের জন্য মুক্ত করুন। যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নিন। আল্লাহ শহীদদের পরিবার পরিজন ও আমাদেরকে সুস্থতা দান করুন। বাংলাদেশের জমিনে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা হাতে হাত মিলিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো, ইনশাআল্লাহ।  

বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছলে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতাকর্মী ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ উপস্থিত হয়ে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সাড়ে ৯টায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দেখতে যান। তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।  

মেডিক্যালে সাংবাদিকদেরকে উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে একটা পরিবর্তন হয়েছে। যারা নিহত হয়েছে তাদের শাহাদাত আল্লাহ কবুল করুন, আর যারা আহত হয়েছে তাদেরকে দ্রুত সুস্থ করে দিন। এখানে আহতদের মধ্যে যাদেরকে দেখেছি তাদের প্রত্যেকের মুখে আমরা হাসি দেখেছি, আন্দোলনের জন্য নিজেদের রক্ত দিতে পেরে তারা প্রত্যেকেই গর্বিত। আর হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আহতদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য। আমরা উনাদের কাছে আহতদের আমানত হিসেবে রেখে যাচ্ছি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে আর কখনো যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে। জুলুম নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়।

সকাল ১০টায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ওমর ফারুকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নগরের লালখানবাজারস্থ চাঁনমারি রোডের টাঙ্গির পাহাড়ের বাসায় যান।  

এছাড়াও তিনি মুরাদপুরে গুলিতে নিহত শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর ইপিজেডের (প্রি-পোর্ট) বাসায় যান। তিনি শহীদ শান্তর বাবা-মা, নানী ও ছোট বোনের সাঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের পারিবারিক খোঁজখবর নেন ও দোয়া কামনা করেন। বিদায় মুহূর্তে তিনি উপস্থিত ছাত্র-শ্রমিক সর্বস্তরের জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, মহানগর অফিস সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।