চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: তিন মাস পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শুরু হয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। প্রায় ১০০ দিনেরও বেশি সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের ভিন্ন ভিন্ন আন্দোলনে অচল ছিলো চবি ক্যাম্পাস।
রোববার (৬ অক্টোবর) অধিকাংশ বিভাগেই নতুন সেশনের শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রেণি কার্যক্রম।
এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা বৈধ আসন পেয়ে আবাসিক হলগুলোতে উঠতে শুরু করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি তুলেন শিক্ষার্থীরা। তোপের মুখে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন ৩ মাস আগে উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়া অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এক মাস ৬ দিনের মাথায় চবির নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে প্রায় ৩ মাসের দীর্ঘ উদ্বিগ্ন সময় কাটানোর পর ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিন পর আবার ক্লাসের পরিবেশ পেয়ে ভালো লাগছে। কিছুদিন আগেও মনে হয়েছিল খুব দ্রুত হয়তো ক্লাস পরীক্ষা শুরু করতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। কারণ আসন বরাদ্দের মতো জটিল একটা কাজ ক্লাস শুরুর আগে করতে হবে। তাছাড়া মাঝখানে আবার পূজার বন্ধ আছে। সবমিলিয়ে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করেছে। কিন্তু প্রশাসন খুব দ্রুতই কাজগুলো করেছে। এরকম আগে কখনো হতে দেখিনি আমরা।
এদিকে দীর্ঘদিন পর আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দিলেও বেশকিছু অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হলো- বিভাগ ভিত্তিক আসন বরাদ্দ না হওয়ায় কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেক আসন পেলেও কিছু কিছু বিভাগ খুব বেশি আসন পায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা ক্লাস-পরীক্ষা দ্রুত শুরু করার জন্য হলগুলোতে আসন বরাদ্দের বিষয়ে খুব বেশি সময় নিতে পারিনি। তাই পুরোনো নীতিমালা অনুসরণ করেই এবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগগুলো যৌক্তিক। খুব দ্রুতই আসন বরাদ্দের ইনক্লুসিভ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
এমএ/এসি/টিসি