ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অভিভাবকহীন সিভাসু, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে যারা

সৈয়দ বাইজিদ ইমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
অভিভাবকহীন সিভাসু, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে যারা ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এর উপাচার্যের শূন্য পদে এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

গেল ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান পদত্যাগ করেন।

আগামী ২৫ অক্টোবর কৃষি গুচ্ছের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এবার পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে আছে সিভাসু। ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সিভাসু কর্তৃপক্ষ।  

এদিকে, নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত ৩ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীরা সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করে আসছে। যার কারণে ক্লাস-পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলনকারীদের একমাত্র দাবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককেই উপাচার্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। বহিরাগত উপাচার্য নিয়োগ দিলে তাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না।  

১৯৯৫-৯৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার দেশের ডেইরি ও পোল্ট্রি সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান ১৯৯৫ সালের ২৮ নভেম্বর এই কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  

২০০১ এর জাতীয় নির্বাচনে চারদলীয় জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পের উদ্যোক্তারা এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানান। এই দাবি বাস্তবায়নে বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিকরা সম্মিলিত দাবি জানান। অবশেষে সরকার এ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়।

২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। এ নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় এই প্রতিষ্ঠানে আসেন। ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে এটি  বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। মূল ক্যাম্পাস ছাড়াও বর্তমানে এর ৪টি শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে।  

সম্প্রতি ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সিভাসুর উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর প্রচারিত হলে গত ৩ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ এবং সৎ ও দক্ষ অধ্যাপককে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়ে সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন।  

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হওয়ার মতো যোগ্য একাধিক শিক্ষক রয়েছেন। এরপরও বাহির থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  

কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরে এ পর্যন্ত মোট পাঁচজন উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন। তন্মধ্যে চারজন নিয়োগ পেয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। শিক্ষা, গবেষণা, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেক অধ্যাপক উপাচার্য হওয়ার যোগ্য। তাদেরকে মূল্যায়ন না করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  উপাচার্য চাপিয়ে দিলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক চেষ্টা চালাচ্ছেন।  

উপাচার্য নিয়োগের আলোচনায় শীর্ষে আছেন অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুদ্দীন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে তাঁর রয়েছে দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং খ্যাতিমান ভেটেরিনারি চিকিৎসা বিজ্ঞানী।

২০০৬ সালে কলেজ থেকে  বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরে জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক হিসেবে ভেটেরিনারি অনুষদের প্রথম ডিন নিযুক্ত হন তিনি। ছিলেন ভূতপূর্ব চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের উপাধ্যক্ষও। দীর্ঘ চাকরি জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, উচ্চশিক্ষা ও অর্থ কমিটিসহ বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজ করেছেন এমএস, এমপিএইচ ও পিএইচডি সুপারভাইজার হিসেবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর প্রকাশনা রয়েছে শতাধিক।  

একেএম সাইফুদ্দীন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সাইন্সে স্নাতক ও এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের আজাবু বিশ্ববিদ্যালয়, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের তামিলনাড়ু ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা এবং ভেটেরিনারি পেশায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন।  

এই বিশ্ববিদ্যালয় (কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে  রূপান্তর) বাস্তবায়নে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন এবং খামারিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ড. সাইফুদ্দীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় ড. একেএম সাইফুদ্দীন উপাচার্য পদে নিয়োগের আলোচনায় সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ।

উপাচার্য পদে আলোচনায় রয়েছেন মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হক রোকন। শিক্ষকতা ও গবেষণার কাজে তাঁর দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক ডিন। বর্তমানে তিনি ওয়ান হেলথ্ ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটিসহ বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব পালনে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে।  

আহসানুল হক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সাইন্সে স্নাতক ও এমএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় এমএস এবং অস্ট্রেলিয়ার জেমস্ কুক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ওয়ান হেলথ্ ও পোল্ট্রি সাইন্স নিয়ে গবেষণায় তাঁর বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর প্রকাশনা রয়েছে শতাধিক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং এমএস, এমপিএইচ ও পিএইচডি সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন ড. আহসান।  

প্রাণি চিকিৎসা শিক্ষায় ‘প্রবলেম বেইসড লার্নিং (পিবিএল)’ পদ্ধতি প্রয়োগে ড. আহসানুল হকের বিশেষ অবদান রয়েছে। এ পদ্ধতি বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে অধিকতর সমৃদ্ধ ও শাণিত করে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত রয়েছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাণিজগতে স্বাস্থ্যের নতুন ঝুঁকি মোকাবিলায় পিবিএল পদ্ধতি মাঠপর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।  

উপাচার্য পদে আলোচনায় রয়েছেন এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার নূরুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে তাঁর দীর্ঘ ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটিসহ বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।  

খন্দকার নূরুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সাইন্সে স্নাতক ও এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে মালয়েশিয়ার পুত্রা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ন্যানো টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা করে তিনি দেশে-বিদেশে প্রশংসিত।

উপাচার্য পদের দৌড়ে রয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান। তিনি ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে তাঁর রয়েছে দীর্ঘ ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা। তিনি সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি থেকে স্নাতক ও এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি এবং যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ থেকে পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। দেশি-বিদেশি জার্নালে তাঁর শতাধিক প্রকাশনা রয়েছে। ‘রেড চিটাগং ক্যাটল’ নামে এক জাতীয় গরু নিয়ে গবেষণা করে ড. খান আলোচনায় আসেন। তবে গরুর এই জাত নিয়ে প্রথম গবেষণা করেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বর্তমানে উপাচার্য ড. ফজলুল হক ভূঁইয়া।  

উপাচার্য পদে আলোচনায় আরও আছেন ডেইরি ও পোল্ট্রি সাইন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. একেএম হুমায়ুন কবির। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে তাঁর রয়েছে ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা। দেশি-বিদেশি জার্নালে তাঁর শতাধিক প্রকাশনা রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর লেখা ‘মিল্ক অ্যান্ড ডেইরি ফুডস’  পাঠ্য বইটি বিশ্বের শীর্ষ মুদ্রণ সংস্থা টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের সিআরসি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানীর জন্য বিশাল প্রাপ্তি।  

হুমায়ুন কবির বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি থেকে স্নাতক ও এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ড. হুমায়ুন কবির ডেইরি ফুডস ও নিউট্রিশন নিয়ে গবেষণা করে সুনাম অর্জন করেছেন।

উপাচার্য পদে নিয়োগের আলোচনায় আরও আছেন ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। বর্তমানে তিনি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এর আগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে তাঁর ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, উচ্চশিক্ষা কমিটিসহ বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন।  

মোহাম্মদ রাশেদুল আলম  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সাইন্সে স্নাতক ও এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েল ভেটেরিনারি কলেজ এবং ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ড. রাশেদ জাপান ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার নিয়ে গবেষণার কারণে প্রশংসিত।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।