চট্টগ্রাম: ফিলিপাইন দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারী এবং ভাইস কনসাল লিন আর গুতেরেজ বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এখানে রয়েছে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ভিসা জটিলতা নিরসনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে ফিলিপাইনের অনারারী কনসাল এম এ আউয়াল, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্যাহ, সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মাহফুজুল হক শাহ, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পার্ক শিপিং লাইন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিজনেস ফোরামের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী কামরুল হুদা, লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদা আউয়াল, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এর পরিচালক লোকপ্রিয় বড়ুয়া, বিএসআরএম গ্রুপের সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও চিটাগাং চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী এসময় বক্তব্য দেন।
বঞ্চিত ব্যবসায়ী সমাজের সমন্বয়ক এস এম সাইফুল আলমসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে চিটাগাং চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, শিপ বিল্ডিং, শিপব্রেকিং এবং আইটি সেক্টর এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছে। পাশাপাশি চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগের উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি ফিলিপাইনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ১১০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা হয়। ফিলিপাইন থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি করা হয়। এতে বুঝা যায়, উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেইভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই এই বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভিসা জটিলতা। তাই বিজনেস টু বিজনেস সম্পর্ক বাড়াতে এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের ওপর জোর দেন চেম্বার প্রশাসক।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে রয়েছে প্রায় ৪-৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ফিলিপাইনের মত কৃষি প্রধান বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পর্যটন সেক্টরে ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে একক ও যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
এসি/টিসি